🇧🇩 নিউজ ডেস্ক 🇧🇩
আরও খবর
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ–ভারতের নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব: প্রধান উপদেষ্টার
২১ দশমিক ৬ শতাংশ টাওয়ার অচল
চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ
বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনা মোতায়েন
নিজেদের ভেতরের কলহই এখনও শেষ করতে পারলো না আওয়ামী লীগ
আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধর করলো প্রতিমন্ত্রীর সামনে
শুক্রবার (২৩ জুন) রৌমারী উপজেলা পরিষদ হল রুমে প্রতিমন্ত্রীর সামনে সাখাওয়াত হোসেন সবুজ নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায়।
আওয়ামী লীগের ৭৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে রৌমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে উপজেলা পরিষদ হল রুমে চলছিল আলোচনা সভা। আলোচনা সভায় যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজকে বক্তব্য দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়। কিন্তু তার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়, এ কারণে তিনি বক্তব্য দেবেন না বলে জানান।
পরবর্তী সময়ে ওই সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজকে ইঙ্গিত করে বলেন, একজন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতিকে বক্তব্য দিতে বললে, তিনি বক্তব্য দেবেন না। অথচ নেতাগিরি করেন। এভাবে কি রাজনীতি করা যাবে? আপনারা কর্মী মূল্যায়ন চান, সে অনুযায়ী কাজ করেন না।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আমি যাদুরচরের কর্তিমারী বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস করে দিয়েছি। কিন্তু অফিসের এক অংশ ভাড়া দিয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ। আর একাংশ অফিস হিসেবে ব্যবহার করছেন তিনি।
এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ। তিনি উত্তরে বলেন, আপনি কথাটি ঠিক বললেন না। আপনি যাদুরচর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অফিস তৈরি বাবদ কোনো টাকা দেননি। আপনি কখন কর্মী মূল্যায়ন করেছেন? এ কথা বলায় শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। একপর্যায়ে সবুজের ওপর হামলার করেন প্রতিমন্ত্রীর সমর্থকরা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হোরায়রাসহ দলের অন্য নেতারা পরিবেশ শান্ত করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সবুজ বলেন, আলোচনা সভায় আমাকে বক্তব্য দিতে বলা হয়। আমার শারীরিক অবস্থা ভালো না থাকায় বক্তব্য দেব না বলে জানাই। পরবর্তী সময়ে সভায় বক্তব্য দিচ্ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন। তার বক্তব্যে আমাকে জড়িয়ে বিভিন্ন কথাবার্তা বলতে থাকেন। এ সময় আমি জবাব দিলে সঙ্গে সঙ্গে প্রতিমন্ত্রীর অনুসারীরা ধাক্কাধাক্কি করে কিল-ঘুসি মারতে থাকেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।