🇧🇩 গণঅধিকার নিউজ ডেস্ক🇧🇩
আরও খবর
বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা
গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব
হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
পিতাপুত্রের টাকা পাচার
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
এভিপিসহ সাউথইস্ট ব্যাংকের আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
সাবেক অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এভিপি) সহ
সাউথইস্ট ব্যাংকের আরো পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পৌনে দুই কোটি টাকারও বেশি (এক কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা) আত্মসাতের অভিযোগে এ মামলা করা হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে সাউথইস্ট ব্যাংকের আরও তিন কর্মকর্তা ও এক গ্রাহককে।
মামলার আসামিরা হলেন- সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এডিপি) ও ঈশ্বরদী শাখা প্রধান মোশতাক আহমেদ, সাবেক সিনিয়র এক্সিকিউটিভ অফিসার ও ম্যানেজার অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম, সাবেক জুনিয়র অফিসার শামিম আহমেদ, ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার মো. ইমরান ও মেসার্স কায়েস এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী ব্যবসায়ী ইমরুল কায়েস।
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামি ইমরুল কায়েস পাবনা জেলার ঈশ্বরদী, আটঘরিয়া, চাটমোহর, ভাঙ্গুড়া ও ফরিদপুর উপজেলার মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর ছিলেন। এছাড়াও তিনি ইউনিলিভার ও রবির ডিস্ট্রিবিউটর এবং প্রথম শ্রেণির একজন ঠিকাদার। তার সঙ্গে সাউথইস্ট ব্যাংকের কর্মকর্তাদের ভালো সম্পর্ক ছিল।
মঙ্গলবার (২০ জুন) পাবনায় সংস্থাটির সমন্বিত কার্যালয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক সাধন চন্দ্র সূত্রধর বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
ইমরুল কায়েস ২০১৫ সালে ব্যাংকটির ঈশ্বরদী শাখায় একটি হিসাব খোলেন। তিনি নিয়মিত ব্যাংক লেনদেন করতেন। ফলে তার সঙ্গে ব্যাংকের সব কর্মকর্তার ব্যাংকিং ব্যবসায়িক সম্পর্ক ছিল। ব্যাংকিং লেনদেনের সুবাদে শাখা প্রধান মোশতাক আহমেদ, ম্যানেজার অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম, জুনিয়র অফিসার শামিম আহমেদ ও ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার মো. ইমরানের সঙ্গে গ্রাহক ইমরুল কায়েসের স্বাভাবিক সখ্য ও বিশ্বস্ততা তৈরি হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে শাখা প্রধান মোশতাক আহমেদ, ম্যানেজার অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম, জুনিয়র অফিসার শামিম আহমেদ এবং ট্রেইনি ক্যাশ অফিসার মো. ইমরান কোনো ডকুমেন্ট ছাড়াই ইমরুল কায়েসকে ব্যবসা পরিচালনার জন্য নগদ টাকা/ পে-অর্ডার প্রদান করেন। দিন শেষে ক্যাশ সমন্বয় করার জন্য ইমরুল কায়েসের সই করা দুইটি চেক শাখা প্রধান মোশতাক আহমেদের কাছে সংরক্ষণ করে রাখা হতো।
লেনদেনের ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল ইমরুল কায়েস ওই ব্যাংকের শাখায় আসেন। এরপর তিনি প্রথমে ম্যানেজার অপারেশন মো. নজরুল ইসলাম ও অফিসার মো. গোলাম ফারুকের সঙ্গে দেখা করেন। তারা তাকে শাখা প্রধান মোশতাক আহমেদের কক্ষে নিয়ে যান। ইমরুল কায়েস শাখা প্রধানের কক্ষে যান তার বিকাশ ও ইউনিলিভারসহ অন্যান্য ব্যবসা পরিচালনার জন্য তার কাছে টাকা চান। তবে ইমরুল কায়েসের চাহিদা মতো টাকা ব্যাংকের কাউন্টারে না থাকায় শাখা প্রধান মোশতাক আহমেদ পে-অর্ডারের মাধ্যমে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ঈশ্বরদী শাখা ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের ঈশ্বরদী শাখা থেকে আনার নির্দেশ দেন।
এরপর ম্যানেজার ও শাখা প্রধান মোশতাক আহমেদ
অপারেশন মো. নজরুল ইসলামের যৌথ সইয়ে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ঈশ্বরদী শাখার একটি পে অর্ডার (নম্বর- ২৬০৬৬৯১) ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের ঈশ্বরদী শাখার অনুকূলে ইস্যু করে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে ব্যাংকে আনা হয়। পরে আরও ৫০ হাজার টাকা ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড শাখা থেকে আনা হয়। এরপর ইমরুল কায়েসকে জুনিয়র অফিসার শামিম আহমেদ নগদ এই টাকা প্রদান করেন। ইমরুল কায়েস দুইটি ব্যাগে ওই টাকা ভর্তি করে ব্যাংক ত্যাগ করেন। পুরো ঘটনা সিসিটিভি ক্যামেরায় রেকর্ড হয়।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।