
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

খালেদা জিয়াকে নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলানোর সুযোগ নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

খালেদা জিয়া রাষ্ট্রপতি কিংবা আপিল বিভাগে যেতে পারেন: অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল

বিএনপি খালেদা জিয়াকে রাজনীতির দাবার গুটি বানিয়েছে: হাছান মাহমুদ

সময়টা ‘খারাপ’ মনে করিয়ে নেতাদের সতর্ক করলেন ওবায়দুল কাদের

ফেসবুক লাইভে এসে ছাত্রলীগ নেতার আত্মহত্যার চেষ্টা

আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভয়ঙ্কর তামাশা: কায়সার কামাল

‘সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক, বিএনপি রাজনীতি করছে’
খালেদা জিয়া হাসপাতালে নিবিড় পর্যবেক্ষণে

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছেন। তাঁর ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ায় স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটেছে। এ জন্য তাঁকে সিসিইউতে ভর্তির সুপারিশ করেছে মেডিকেল বোর্ড। তবে সেখানে না নিয়ে সিসিইউ সুবিধা সংযুক্ত কেবিনেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
খালেদা জিয়ার ৭৯তম জন্মদিন মঙ্গলবার। তবে দলীয় প্রধানের জন্মদিন উপলক্ষে এবারও কোনো উৎসব করছে না বিএনপি। তাঁর রোগমুক্তির জন্য বুধবার দোয়া ও মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের মেডিকেল বোর্ডের একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, তাঁর লিভারের সমস্যা যে পর্যায়ে আছে, তাঁর উন্নত চিকিৎসা বাংলাদেশে নেই। এ সমস্যা এতটাই জটিল ও সংবেদনশীল যে, এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অনেক। তিনি জানান, নতুন করে শুক্রবার খালেদা জিয়ার জ্বর আসে। ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশারসহ বেশ কিছু জটিলতা নিয়ন্ত্রণে রাখতে মেডিকেল বোর্ড সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। এগুলো মোটামুটি নিয়ন্ত্রণে আছে। কিন্তু লিভারে পানি বেড়ে যাওয়ায় যে কোনো সময় অন্য জটিলতা দেখা দিতে পারে। এর ফলে শরীরের ওজন বেড়ে গেছে। শ্বাস-প্রশ্বাসে কষ্ট হচ্ছে। ব্লাড প্রেশার ও ডায়াবেটিস ওঠানামা করছে।
মঙ্গলবার খালেদা জিয়াকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে গত জুনেও তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। সে সময় তাঁকে পাঁচ দিন হাসপাতালে থাকতে হয়। তখন এনজিওগ্রাম করা হলে তাঁর হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
৭৯ বছরে পা দেওয়া খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, লিভার ও হৃদরোগে ভুগছেন। তাঁর পরিপাকতন্ত্রে রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। ২০২১ সালের এপ্রিলে কভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে কয়েকবার নানা অসুস্থতার কারণে তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।
গত কয়েক বছরের মতো এবারও খালেদা জিয়ার জন্মদিন দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়েই পালন করবে দলটি। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকীর দিনে জন্মদিন উদযাপনের বিতর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে জন্মদিনের কেক কাটার মতো কর্মসূচি পালন করছে না দলটি।
সোমবার বিএনপির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, খালেদা জিয়ার আরোগ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় বুধবার সকাল ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিচতলায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে।
খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা এস্কান্দার মজুমদারের বাড়ি ফেনী হলেও তিনি দিনাজপুরে বসবাস করতেন। খালেদা জিয়ার জন্মও সেখানে। ১৯৬০ সালের আগস্ট মাসে জিয়াউর রহমানের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।