নিউজ ডেক্স
আরও খবর
তাহিরপুর বিভিন্ন ছড়া ও নদীর খনিজ বালু হরিলুট,যেন দেখার কেউ নেই
বগুড়ায় শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ১০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
খুলনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় ৪ আসামি রিমান্ডে
উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে মুরগির খামারিকে ড্রেনে চুবিয়ে হত্যা
গোয়ালন্দে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ, অর্থের বিনিময়ে ধামাচাপা দিতে দৌড়ঝাপ
গাজীপুরে ইউএনওর ওপর হামলার অভিযোগ, আহত ৬
গাজীপুরের কালীগঞ্জে মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আলমগীরের উসকানিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় ইউএনওর কার্যালয় ভাঙচুর ও উপজেলা পরিষদের ছয় কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
হামলায় ইউএনওর গাড়ির চালক মো. রুবেল, বিআরডিবির হিসাব রক্ষক লিটন আহমেদ, প্রকৌশলী অফিসের মো. রাসেল, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের প্রোগ্রামার উজ্জ্বল কুমার শীল, আনসার সদস্য আকরাম ও রেজোয়ান আহত হয়েছেন।
ইউএনওর অফিস সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকালে শহিদ ময়েজ উদ্দিন আহমেদের ৩৯তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক স্মরণসভার আয়োজন করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। জেলা ও উপজেলা থেকে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আসছিলেন। দুপুর ১টার দিকে মোক্তারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তার অনুসারীদের নিয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে জড়ো হন। ওই সময়ই উপজেলা পরিষদের হলরুমে জাতীয় কন্যাশিশু দিবস উপলক্ষে শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আলমগীরের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের ভেতরে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা নিয়ে কয়েকশ লোক প্রবেশ করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিচ্ছিলেন। হলরুমে জাতীয় একটি অনুষ্ঠান চলছে বিষয়টি চেয়ারম্যানসহ তাদের অবগত করা হলেও তারা তা না মেনে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় বাইরে জটলা তৈরি হওয়ায় প্রথমে উপজেলা পরিষদের নিরাপত্তার দায়িত্বরত আনসার সদস্যরা জড়ো হওয়া নেতাকর্মীদের গাড়ি উপজেলা চত্বরের বাইরে নিয়ে রাখার অনুরোধ করেন। নেতাকর্মীরা এতে উত্তেজিত হয়ে উঠেন।
খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজিজুর রহমান উপস্থিত হয়ে চেয়ারম্যানকে ডেকে বলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্যসহ ভিআইপি নেতারা উপজেলা পরিষদে আসার কথা রয়েছে। সম্ভব হলে আপনার নেতাকর্মীদের গাড়ি বাইরে খোলা জায়গায় নিয়ে রাখতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চেয়ারম্যান ইউএনওর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা এগিয়ে এসে ইউএনওসহ তার সঙ্গে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ঘিরে ফেলেন। একপর্যায়ে ইউএনওর ওপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
ইউএনওর সঙ্গে থাকা আনসার সদস্য ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ইউএনওকে রক্ষা করার চেষ্টা করলে তাদের ওপরও হামলা চালায় চেয়ারম্যানের লোকজন। এতে আনসারসহ ছয়জন আহত হয়েছেন।
এদিকে, চেয়ারম্যান উপস্থিত থাকলেও তাদের বাধা না দিয়ে বরং উসকে দেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এতেই এ ঘটনার সূত্রপাত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত নেতাকর্মীরা ইউএনও অফিস এবং উপজেলা নির্বাচন অফিসে ইটপাটকেল মারতে থাকেন; এতে কয়েকটি জানালার গ্লাস ভেঙে যায়। একপর্যায়ে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
ইউএনও মো. আজিজুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান ও তার নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদ চত্বরে জটলার সৃষ্টি করে অটোরিকশা এবং মোটরসাইকেল রাখেন। তাদের গাড়ি চত্বরের বাইরে খোলা স্থানে রাখার অনুরোধ করার পর চেয়ারম্যান ক্ষিপ্ত হয়ে যান। সে সময় তার সঙ্গে থাকা নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যানের উসকানি পেয়ে আমার এবং সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের ওপর হামলা চালান। এছাড়াও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে দপ্তরের জানালা ভাঙচুর করেন। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হামলার বিষয়টি জানতে ইউপি চেয়ারম্যান মো. আলমগীরকে ফোন দেওয়া হলে তিনি কল ধরেননি।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।