নিউজ ডেক্স
আরও খবর
চাটমোহরে ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ, কাটা হয়েছে পায়ের রগ
দেশ গঠনের বার্তা দেবেন তারেক রহমান
যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: মুজিবুর রহমান
খালেদা জিয়াকে শিগগিরই বিদেশে নেওয়া হবে : মির্জা ফখরুল
বগুড়ায় শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ১০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
গফরগাঁওয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে যুবদলের ২ কর্মী নিহত
আমার ছেলে যেন এমনই সাধারণ থাকে: আসিফের বাবা
তারেক-জোবাইদাকে দেশে ফেরানোর চেষ্টা করা হবে
জ্ঞাত-আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী জুবাইদাকে দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকরের চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
বুধবার রায়ের পর সচিবালয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা বলেন।
আসামিকে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করার বিষয়ে সরকারের কোনো উদ্যোগ থাকবে কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘সবসময় থাকবে, সেটা আমাদের দায়িত্ব। সরকার তাদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অবশ্যই করবে।’
বিএনপি বলছে, এটি ফরমায়েশি রায়। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, ‘মামলাটি দায়ের করা হয়েছিল ২০০৭ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর। সেই সময় ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাথে তাদেরই নিয়োগপ্রাপ্ত সেনাপ্রধানের যথেষ্ট সখ্য ছিল, সেটা সম্বন্ধে আমার কিছু বলার নেই, আপনারাই জানেন। তারাই এ দুর্নীতি মামলাটি দায়ের করেছে।’
তারপরে হাইকোর্টে এই দুর্নীতি মামলা দায়েরের পরে যিনি আসামি তার পক্ষে যাওয়া হয়েছে। হাইকোর্ট যখন সেটা নাকচ করে দিলেন, এরপর আপিল বিভাগে গেছেন ওনারা। আপিল বিভাগ নাকচ করার পরে এ দায়িত্ব বর্তায় বিচারিক আদালতে। এখানে তারা যদি বলেন ফরমায়েশি তাহলে আইন সম্বন্ধে তাদের সম্মুখ ধারণা আছে কিনা আমার সন্দেহ।
বিএনপি বলছে নির্বাচনের আগে এ ধরনের একটি রায় দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, এখানে বিভ্রান্ত করার কী আছে? বিচারিক কাজ হয়েছে এরপর রায় বেরিয়েছে। আর এ আসামি তো আগে থেকেই সাজাপ্রাপ্ত। তিনি একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় যাবজ্জীবন পেয়েছেন। আরেকটা দুর্নীতির মামলায় হাইকোর্ট তাকে সাত বছরের দণ্ডাদেশ দিয়েছেন। নতুন করে উনাকে এটা দিয়ে উনার ভাবমূর্তি খারাপ করতে আমাদের প্রচেষ্টার তো প্রয়োজন পড়ে না।
বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে তারেক রহমান অথবা বিএনপিপন্থিদের একটা বক্তব্য ছিল যে এটা ত্বরিতগতিতে করা হয়েছে- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একদিকে বলা হয় এখানে বিচার হয় না, সবকিছু অত্যন্ত স্লোগতিতে চলে; আরেকদিকে বলা হয় বিচারটা তাড়াতাড়ি হয়ে গেছে। প্রথম কথা হচ্ছে তর্কটা যৌক্তিক হওয়া ভালো। এখানে অযৌক্তিক তর্ক করে শুধু একটা দোষী বা নির্দোষ যেটাই বলেন আদালতের ব্যাপার, আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করেছেন। দোষ যখন করেছে তখন এগুলো দিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা না করাই উচিত।
বিএনপি বলছে তাদের রাজনৈতিক মাঠ থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রয়াস এগুলো- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারাই দেখছেন যে বিএনপি যতক্ষণ রাজনীতি করছে তাদের কেউ বাধাগ্রস্ত করছে না। আইনের শাসনের জন্য তাদের অপরাধের বিচার করাটা আমার মনে হয় না তাদের রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করার পরিকল্পনা।’
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।