নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সহ ৩ জনের পদত্যাগ
পাবিপ্রবিতে কোটা সংস্কার দাবিতে শিক্ষার্থীদের মশাল মিছিল
আবারও কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের
কোটা সংস্কারের দাবিতে ফের কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ ইবি শিক্ষার্থীদের
পরীক্ষার দাবিতে কাফনের কাপড় গায়ে জড়িয়ে রামেবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
অনির্দিষ্টকালের জন্য সকল পরীক্ষা স্থগিত করলো ঢাবি প্রশাসন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ
দুর্যোগপূর্ণ এলাকা ছাড়া সারা দেশে এইচএসসি পরীক্ষা চলবে: শিক্ষামন্ত্রী
ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে ভয়াবহ বন্যায় অবর্ণনীয় দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি জেলার মানুষ। আগামী ১৭ আগস্ট থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু। দুর্যোগকবলিত এলাকা ছাড়া সারা দেশে এইচএসসি পরীক্ষা চলবে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
শুক্রবার চাঁদপুর শহরের লেডি প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের সিদ্ধান্ত আছে পরীক্ষার সময়ে যদি কোনো জায়গায় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পরীক্ষা বন্ধ করতে হয়, সেই স্থানে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা বন্ধ থাকবে, বাকি এলাকায় পরীক্ষা চলবে।
মন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু প্রতি বছরই হয়, এ বছর হয়ত প্রকোপটা বেশি। ডেঙ্গু পরিস্থিতির জন্য সারা দেশের এইচএসসি পরীক্ষার মতো পাবলিক পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই। দেশে প্রায় ১৪ লাখ পরীক্ষার্থী। তারা এ পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। ১৭ আগস্ট এ তারিখ বহু আগেই ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেই অনুযায়ী তারা প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, কিছু পরীক্ষার্থী সব সময় পরীক্ষার আগে চিন্তা করে আরেকটু সময় পেলে ভালোভাবে প্রস্তুতি নেওয়া যাবে। সেজন্য তো পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়া যায় না। এটি পাবলিক পরীক্ষা, এটি সঠিক সময়ে নেওয়া জরুরি। এমনিতেই কোভিডের কারণে অনেক সময় পিছিয়ে পরীক্ষা নিতে হচ্ছে এবং এ বছর আমরা চেষ্টা করছি পরীক্ষা এগিয়ে নিতে।
মন্ত্রী বলেন, আগামী বছর আমরা চেষ্টা করব স্বাভাবিক সময়ে পরীক্ষা নিতে। এর মধ্যে মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের শিক্ষার্থীদের চিন্তা থাকে। সেজন্য আইসিটি বিষয়ে কম নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। পুরো পরীক্ষা কম নম্বরে অর্থাৎ পুনর্বিন্যাস নম্বরে পরীক্ষা হচ্ছে। কাজেই যে অল্পসংখ্যক শিক্ষার্থী আন্দোলনে আছে, তারা রাস্তাঘাটে এ আন্দোলন না করে পড়ার টেবিলে ফিরে যাক এবং তারা প্রস্তুতি নিলে আমি বিশ্বাস করি তারা ভালো করবে।
দীপু মনি বলেন, আমাদের তো পরীক্ষায় শতভাগ পাশ করে না। যারা পাশ করে না তারা পরের বছর পরীক্ষা দেয়। যারা ভালো করে না, তারা মানউন্নয়নের জন্য পরের বছর পরীক্ষা দেয়। এ সুযোগগুলো সব আছে। কাজেই পরীক্ষা পেছানোর কোনো সুযোগ নেই। আমাদের পরীক্ষার্থীরা যেন সবাই পড়ার মধ্যে মনোনিবেশ করে এবং তাদের জন্য শুভকামনা রইল।
এসএসসির পরে এইচএসসিতে এসে শিক্ষার্থী কমে যাওয়া অর্থাৎ ঝরেপড়া সম্পর্কে মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় এ সংখ্যাটি হঠাৎ করে মনগড়া বলা হয়। এটির সঠিক সংখ্যা জেনে বলতে হবে। যারা এসএসসি দেয়, তাদের মধ্যে বহুসংখ্যক কর্মজীবনে প্রবেশ করে। অনেকে বিদেশে চলে যায়। আবার কেউ আছে অন্যান্য শিক্ষা অর্থাৎ কারিগরি শিক্ষায় চলে যায়। তারা আর এইচএসসি দিতে আসে না। এ বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
এ সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. হেদায়েত উল্যাহ, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক রনজিত রায় চৌধুরী, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রহমান বাবুল, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসাম্মৎ মোর্শেদা ইয়াসমিনসহ সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী শহরের পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা চত্বরের উদ্বোধন করেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।