
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাশিয়ার বৃহত্তম তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের পাল্টা ড্রোন হামলা

ইসরাইলি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আল-আকসায় জুমআ আদায় লাখো ফিলিস্তিনির

শিগগিরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ, সৌদি যাচ্ছেন জেলেনস্কি

ইসরাইলি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আল-আকসায় জুমআ আদায় লাখো ফিলিস্তিনির

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যেকোনো যুদ্ধ মোকাবিলায় প্রস্তুত চীন

ডেমোক্রেট পাগলদের দল: হোয়াইট হাউস

ট্রাম্প আসলেই একটা গুন্ডা: বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী
নেট অভিবাসী সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার ঋষি সুনাকের

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক আসন্ন নির্বাচনের জন্য কনজারভেটিভ পার্টির ইশতেহার প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি যুক্তরাজ্যে নেট অভিবাসীদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনার অঙ্গীকার করেছেন। মঙ্গলবার (১১ জুন) ইংল্যান্ডের সিলভারস্টোনে তিনি এই অঙ্গীকারের কথা বলেছেন। খবর ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য সানের।
ঋষি সুনাক বলেছেন, এই প্রশ্নের কোনও জবাব নেই লেবার পার্টির কাছে। গত সপ্তাহে আমরা দেখেছি কেই স্টার্মার আপনাদের বলতে পারেননি অবৈধভাবে মানুষ দেশে আসলে তিনি কী করবেন। কারণ তিনি এটিকে কোনও সমস্যা মনে করেন না।
তিনি বলেছেন, এখন ব্রেক্সিটের কারণে সীমান্তের নিয়ন্ত্রণ আমাদের হাতে। কিন্তু গত কয়েক বছরে অভিবাসীদের সংখ্যা অনেক বেশি। তা কমিয়ে আনতে আমাদের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে। গত আমরা বেশ কয়েকটি পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছি। যার অর্থ হলো যুক্তরাজ্যে আসতে আগ্রহী এমন ৩ লাখ মানুষ এখন আর উপযুক্ত বিবেচিত হবেন না। আমরা অভিবাসীদের সংখ্যা বেঁধে দেব। যার অর্থ হলো পার্লামেন্টে আপনাদের নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ভোট দেবেন প্রতি বছর কত সংখ্যক মানুষ দেশে আসতে পারবে।
সুনাক আরও বলেছেন, আমাদের পরিকল্পনা হলো: আমরা অভিবাসীদের সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনব। মূল্যস্ফীতিও অর্ধেকে আনব। এরপর প্রতিবছর তা কমানো হবে।
সুনাকের অঙ্গীকার অনুসারে, নেট অভিবাসন অর্ধেকে নামিয়ে আনলেও প্রতি বছর তা ৩ লাখ ৪০ হাজার থাকবে। যা ২০১৯ সালের চেয়ে বেশি থাকবে। যুক্তরাজ্যের পরিসংখ্যান কার্যালয় (ওএনএস)-এর তথ্য অনুসারে, ওই বছর যুক্তরাজ্যে আসা অভিবাসীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৮৪ হাজার।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার করেছেন রুয়ান্ডা স্কিমের মাধ্যমে অবৈধ অভিবাসন কমিয়ে আনা হবে। তিনি বলেছেন, আমাদের সীমান্ত সুরক্ষাও প্রয়োজন।
২০২৭ সালের মধ্যে জাতীয় বিমা সামগ্রিকভাবে অর্ধেক করার অঙ্গীকারের কথাও বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কর্মজীবী মানুষরা যাতে বেশি অর্থ রাখতে পারে সেই চেষ্টা আমরা করব। কারণ এটি তাদের উপার্জিত অর্থ। কোথায় তা ব্যয় করবেন সেই অধিকার আপনাদের থাকা উচিত।
তিনি আরও বলেছেন, আমরা শ্রমিক, অভিভাবক ও পেনশনভোগীদের কর কমাচ্ছি। আমরা মার্গারেট থ্যাচার ও নাইজেল লসনের পার্টি। আমরা লেবার পার্টির মতো নই, আমরা অর্থের ঝঙ্কারে বিশ্বাসী।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।