
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ঈশ্বরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল উপহার পেলেন শিক্ষার্থীরা

মাহফিলে পদদলিত হয়ে আহত ৩০

একদল যায়, আরেক দল এসে লুটে খায়

রূপপুরে গ্রিনসিটির ৪ তলা থেকে লাফ দিয়ে রুশ নারীর আত্মহত্যা

কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার

মধুখালীতে সাংবাদিকের বাবা-মাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

আজও পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
পাংশায় উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার মাছপাড়া ইউনিয়নের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। রবিবার (২৩ জুন) রাত ৮টার দিকে উপজেলার মাছপাড়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুরো চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে (৮ মে) উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ নিয়ে বিজয়ী হন। তার পদত্যাগের কারণে মাছপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদ শূন্য হয়। তবে এখনও ওই ইউনিয়নে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়নি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন সম্পন্ন হওয়ার পর থেকেই নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুরোর ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খন্দকার সিসিল চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা চালানো শুরু করেন। পাশাপাশি মাছপাড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান পদে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি সুরুজ মৃধা প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা শুরু করেন।
রোববার রাত ৮টার দিকে এই দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দোকানপাটও ভাঙচুর করা হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মাছপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান প্রার্থী সুরুজ মৃধা জানান, রাত ৮টার দিকে তার কিছু কর্মী-সমর্থক মোটরসাইকেল নিয়ে মিছিল করছিলেন। তখন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বুরো ও তার ছেলের নেতৃত্বে তার কর্মীদের ওপর হামলা চালান এবং বেশ কয়েকটি দোকান ভাঙচুর করেন। পরে তারা তার বাড়িতেও হামলার চেষ্টা করেন। সে সময় পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও তার ছেলে চর দখল করার মতো ইউনিয়ন পরিষদে শোডাউন দিয়ে জনমনে আতংক ছড়াচ্ছে এবং তার কর্মীদের ভয় দেখাচ্ছে। হামলায় তার বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন বলেও দাবি করেন তিনি।
অপরদিকে পাংশা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুল ইসলাম বুরো জানান, তারা আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষ করে ইউনিয়নের পার্টি অফিসে বসে ছিলেন। তখন ৫০ থেকে ৬০টি মোটরসাইকেল নিয়ে এসে সুরুজ মৃধার লোকজন তার কর্মীদের ওপর হামলা করেন। সে সময় তারা শুধু প্রতিরোধ করেছিলেন। সুরুজ মৃধার লোকজন আগে তাদের ওপর হামলা করেছেন। এতে তাদের একজন কর্মী আহত হয়েছেন।
পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে যাওয়ার আগেই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তবে এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে এবং এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংর্ঘষের সময় একটি দোকান ভাঙচুর হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে জেনেছেন দুই পক্ষের ৬ থেকে ৭ জন আহত আছেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।