
নিউজ ডেক্স
পাকিস্তানে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ, নির্বাচনে বিলম্ব

পাকিস্তানে শপথ নিলেন দেশটির নবনিযুক্ত তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার-উল-হক কাকার। একসঙ্গে শপথ গ্রহণ করেন তার মন্ত্রিসভার সদস্যরাও। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদে প্রেসিডেন্টের বাসভবন আইওয়ান-ই-সদরে এ আয়োজন করা হয়।
রাষ্ট্রপতি আরিফ আলভি ১৯ সদস্যের অন্তর্বর্তী ফেডারেল মন্ত্রিসভাকে শপথবাক্য পাঠ করান। প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের বিবৃতি অনুসারে, ১৬ জন ফেডারেল মন্ত্রী এবং ৩ জন উপদেষ্টা মন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়। ফেডারেল মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন সিনেটর সরফরাজ আহমেদ বুগতি, জলিল আব্বাস জিলানি, শামশাদ আখতার, লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) আনোয়ার আলী হায়দা, মুর্তজা সোলাঙ্গী, সামি সাইদ, শহিদ আশরাফ তারার, আহমদ ইরফান আসলাম, মোহাম্মদ আলী, গোহর এজাজ, উমর সাইফ, নাদিম জান, খলিল জর্জ, আনেক আহমদ এবং জামাল শাহ মাদাদ আলী সিন্ধি।
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার দায়িত্বে থাকবেন এয়ার মার্শাল (অব.) ফারহাত হোসেন খান, আহাদ খান চিমা এবং ওয়াকার মাসুদ খান। একইদিনে দেশটির নির্বাচন কমিশন (ইসিপি) জানায়, সারা দেশে নির্বাচনি এলাকার নতুন সীমানা নির্ধারণ সম্পর্কে চলতি বছরের ডিসেম্বরে জানানো হবে। ইসিপি তফশিল বলছে, নতুন সীমানা নির্ধারণে প্রায় ৪ মাস সময় লাগবে। কেননা প্রাদেশিক এবং জাতীয় সংসদ ভেঙে দেওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে দেশে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে না।
ইসিপি এও জানিয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে নির্বাচনি এলাকার সীমানা নির্ধারণ করা হবে। নির্বাচনি এলাকাসংধক্রান্ত প্রস্তাবনা ১০ অক্টোবর থেকে ৮ নভেম্বর পর্যন্ত জমা দেওয়া হবে। ৫ থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনি এলাকার কোটা বরাদ্দ করা হবে। নির্বাচনি এলাকা সম্পর্কিত প্রশাসনিক বিষয়গুলো ৩১ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন হবে। ইসলামাবাদসহ চারটি প্রদেশের নির্বাচনি কমিটি ২১ আগস্টের মধ্যে হবে। নির্বাচনি আইন অনুযায়ী, ইসিপি সারা দেশে শতাধিক প্রাদেশিক ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনি এলাকার জন্য নতুন সীমানা নির্ধারণ করতে বাধ্য।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।