
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

হিজাব-নিকাব পরা ছাত্রীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত ঢাবির

শিক্ষকদের সুখবর দিয়ে গেলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা

‘কারাগারে মশার কামড়ে ঘুম হচ্ছে না, খুব কষ্টে আছি’

সরকারি প্রাথমিকে ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগপত্র পাচ্ছেন আজ, যোগদান ১২ মার্চ

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত ৬৫৩১ শিক্ষককে যোগদানের ঘোষণা

প্রাথমিকের নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষকদের প্রতীকী ফাঁসি!

চবির ১০ ছাত্রী বহিষ্কার, প্রক্টরের সঙ্গে নেতার কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফাঁস
পুরোনো অডিও ফেসবুকে, ‘কণ্ঠ নকল’ বললেন ইবি শিক্ষক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বাংলা বিভাগের এক শিক্ষকের পাঁচ বছর আগে ফাঁস হওয়া নিয়োগ সংক্রান্ত কথোপকথনের একটি অডিও নতুন করে আবারো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল নামের ওই শিক্ষক ইবি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
বৃহস্পতিবার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননূর যায়েদ বিপ্লব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অডিওটিকে ‘কণ্ঠ নকল করে করা’ দাবি করে ওই শিক্ষক বলেন, একটি মৌলবাদী কুচক্রী মহল ওই অডিওটি নতুন করে সামনে নিয়ে এসেছে।
সাধারণ ডায়েরিতে ওই শিক্ষক দাবি করেন, দীর্ঘদিন আগে বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের বিরুদ্ধে একটি সাজানো বানোয়াট মিথ্যা নিয়োগ বাণিজ্য সংবাদকে কেন্দ্র করে অভিযোগ হয়।
এ অভিযোগটি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তদন্ত করে। তদন্তে তাদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় ২০২১ সালের ৩ আগস্ট তাদের অব্যাহতি দেওয়া হয়।
গত ২১ আগস্ট বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অজ্ঞাতনামা একটি ফেসবুক আইডি থেকে মীমাংসিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে কণ্ঠ এডিট করে একটি মিথ্যা ফেসবুক পোস্ট করে আমার সম্মানহানি করার চেষ্টা করে। পরে বারংবার ওই ফেসবুক আইডির সঙ্গে যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট ‘সাথী খাতুন’ নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে অডিওটি প্রকাশ করা হয়। পরবর্তীতে পোস্টটি আর খুঁজে পাওয়া যায়নি।
প্রকাশ হওয়া দুই মিনিট ৩৭ সেকেন্ডের ওই অডিওটি ২০১৮ সালে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সে সময় আরও চারটি অডিও প্রকাশ হয়।
ওই বছরের ১৫, ১৬ এবং ১৭ জুলাই ধারাবাহিকভাবে ‘শিক্ষক নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁস, এবার চুক্তি ২০ লাখে’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। অডিওগুলোতে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক প্রার্থীর সঙ্গে বাকী বিল্লাহ বিকুলের কণ্ঠে নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অর্থ লেনদেন নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।
অডিওতে তৎকালীন বিভাগীয় সভাপতি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর হোসেন এবং ইংরেজি বিভাগের প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদের নামও উঠে আসে। পরবর্তীতে বিষয়টি আমলে নিয়ে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
এছাড়া বাকী বিল্লাহ বিকুলকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিসির পরিচালক এবং ড. শাহাদৎ হোসাইন আজাদকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রভোস্ট পদ থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় প্রশাসন।
পরবর্তীতে তদন্ত প্রতিবেদনে নিয়োগ বাণিজ্যের সঙ্গে ওই দুই শিক্ষকের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়ায় তৎকালীন প্রশাসন ২৪৪তম সিন্ডিকেটে ওই দুই শিক্ষককে পদাবনতিসহ বিভিন্ন শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট। পরবর্তীতে বিষয়টি দুদকে তদন্তের পর ওই দুই শিক্ষক অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন বলে জানা গেছে।
অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহ বিকুল বলেন, ২০১৮ সালের একটি মীমাংসিত ঘটনা। আমাদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছিল তা মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন এটা দুদকের তদন্তে প্রমাণিত।
সেই পুরাতন ঘটনাকে কেন্দ্র করে কতিপয় কুচক্রী মহল আমাদের সম্মানহানি করার জন্য এটা নতুন করে তারা ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট করেছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করব।
তিনি আরও বলেন, তৎকালীন প্রশাসন পুরোপুরি আমার, জাহাঙ্গীর স্যার ও আজাদ স্যারের প্রতিপক্ষ ছিল। এই প্রতিপক্ষের শিকারই আমরা হয়েছিলাম, তাদের তৈরি অডিও আমি কিভাবে মেনে নেব। আমাদের বিরুদ্ধে কোনো লোক লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তারা পরিকল্পিতভাবে শাস্তির বিধান করেছিল।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।