বাংলাদেশের প্রোফাইল অত্যন্ত চমকপ্রদ : ইইউ রাষ্ট্রদূত

বাংলাদেশের মোট দেশীয় উৎপাদনের তুলনায় মোট ঋণ (৩৭ শতাংশ) বেশি নয়। বাংলাদেশের যে অবস্থা সেটিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল সন্তুষ্ট এবং তারা বাংলাদেশকে সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ কখনোই তার ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়নি। এটি অত্যন্ত চমকপ্রদ প্রোফাইল বলে জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত চার্লস হোয়াইটলি।
সোমবার (১০ জুন) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোমেটিক করেসপন্ডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ আয়োজিত ডিক্যাব টকে তিনি এসব কথা বলেন।
চার্লস হোয়াইটলি জানান, এশিয়ার অনেক দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় মোট ঋণের পরিমাণ ৮০ শতাংশ। ইইউ দেশগুলোতে এটি ৮০ শতাংশের বেশি। বাংলাদেশের অবস্থা অত্যন্ত চমকপ্রদ এবং এর অর্থ হচ্ছে ঋণ দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ একটি ভালো দেশ। এ জন্য ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী।
ব্যাংকটি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে সহায়তা দিচ্ছে। সম্প্রতি ২০০ রেলওয়ে ক্যারেজ কেনার জন্য তারা অর্থ সহায়তা দেবে বলে ঘোষণা করেছে। কয়েক বছর আগে রেলওয়েকে ব্যাংকটি কিছু ঋণ দিয়েছিল। সামনের দিনগুলোতে এ ধরনের ঋণ আমরা আরও বেশি দেখতে পাবো বলে তিনি জানান।
বিভিন্ন ধরনের ইইউ রেগুলেশনের বিষয়ে তিনি জানান, অনেক এশিয়ান দেশ এটির বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশ এ বিষয়ে অনেক বেশি ইতিবাচক। তবে তৈরি পোশাক শিল্পের দাম কেন বাড়ছে না এটি নিয়ে বাংলাদেশিদের অসন্তুষ্টি আছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশিদের অসন্তুষ্টির বিষয়টি আমি বুঝতে পারি এবং এটি ঠিক আছে। আমার অংশীদাররা যদি আমাকে বিনিয়োগ করতে বলে, আমি অবশ্যই এখানে কিছু লাভ চাইবো। ইউরোপিয়ান মানদণ্ড অনুসরণের জন্য বাংলাদেশ বিনিয়োগ করেছে এবং তারা মুনাফা চায়।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।