নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ–ভারতের নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব: প্রধান উপদেষ্টার
২১ দশমিক ৬ শতাংশ টাওয়ার অচল
চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ
বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনা মোতায়েন
বাড়ানো হচ্ছে সবজির দামও
রমজান মাস শুরু হতে আর মাত্র সাত দিন বাকি। আর এই মাস ঘিরে অতি মুনাফাখোর ব্যবসায়ী সিন্ডকেট দুই মাস আগেই ছোলা, চিনি, চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও খেজুরের দাম বাড়িয়েছে। অসহনীয় করে রেখেছে ফলের বাজার। সবজির মূল্য স্বাভাবিক থাকলেও এখন কারসাজি করে সেটিরও দাম বাড়ানো হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর কাঁচাবাজারে বেগুন, আলু, লেবু, শসা, গাজর, টমেটো, পুদিনাপাতা, ধনেপাতাসহ একাধিক সবজি বাড়তি দরে বিক্রি হয়েছে। তাই এসব পণ্য কিনতে ভোক্তার বেশি টাকা খরচ করতে হচ্ছে।
এদিন রাজধানীর নয়াবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও রামপুরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে- খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বেগুন মান ও আকারভেদে ৭০-৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সাত দিন আগেও ৬০-৮০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। যা আগে ৪০ টাকা ছিল। প্রতিকেজি গাজর ও শসা বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। যা এক সপ্তাহ আগেও ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পাশাপাশি প্রতি হালি (৪ পিস) লেবু বিক্রি হচ্ছে ৭০-৯০ টাকা।
রাজধানীর মালিবাগ কাঁচাবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা আমেনা বেগম বলেন, বাজারে সব ধরনের পণ্যের দাম বেড়েছে। ব্রয়লার মুরগি কিনতেও কেজিপ্রতি ২৫০ টাকা খরচ হচ্ছে। ৭৫০ টাকা কেজি গরুর মাংস। মাছেও হাত দেওয়া যাচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে রোজা শুরু হচ্ছে।
তিনি জানান, প্রতিবছরের মতো এবারও রোজায় অতি ব্যবহৃত ছোলা, ভোজ্যতেল, চিনি, মসুর ডাল, খেজুরের দাম দুই মাস আগেই বিক্রেতারা বাড়িয়ে বিক্রি করছে। বাদ ছিল রোজায় বেশি দরকারি সবজি। এই সপ্তাহে এগুলোর দামও বাড়ানো হয়েছে। এক হালি লেবু কিনতে ৮০-৯০ টাকা লাগবে এটা কেউ ভাবতে পেরেছে? বেগুনের দামও ১০০ ছুঁইছুঁই। দেখা যাবে সামনের সপ্তাহে ১০০ টাকার ওপরে উঠে গেছে। দেখার যেন কেউ নেই। তাই বাজারে মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে একই বাজারের সবজি বিক্রেতা জিহাদ বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে বেশি দামে সবজি আনছি। রোজা ঘিরে সব ধরনের সবজির দাম পাইকাররা বাড়িয়েছে। বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সঙ্গে পরিবহণ ভাড়া, স্থান ভাড়া ও গেটম্যানের চাঁদা দিয়ে স্বল্প লাভে পণ্য বিক্রি করতে হচ্ছে। লাভ আমরা করছি না।
বাংলাদেশ কাঁচামাল আড়ত মালিক সমিতির সভাপতি মো. ইমরান বলেন, পচনশীল পণ্য হওয়ায় সবজির বাজারে বড় ধরনের কারসাজির সুযোগ কম। সার ও বিদ্যুতের দাম বাড়ায় কৃষকের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সঙ্গে পরিবহণ খরচ আগের তুলনায় অনেক বেশি। মাঠ থেকে বাজারে মৌসুমি সবজি আসছে কম। এতে দাম বেড়েছে। রোজার প্রথম দিকেও বাজার এমনই থাকবে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।