নিউজ ডেক্স
আরও খবর
বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা
গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব
হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল
পিতাপুত্রের টাকা পাচার
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ
ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে
ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম
বিয়ের দাবিতে পুলিশ সদস্যর বাসায় প্রেমিকার আত্মহত্যা
রাজধানীর মাতুয়াইলে বিয়ের দাবি না মানায় পুলিশ সদস্য প্রেমিকের বাসায় লামিয়া আলম (২১) নামে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে মাতুয়াইল আ. হাজী লতিফ ভুঁইয়া কলেজের পাশে একটি বাড়ির ৫ম তলায় এই ঘটনা ঘটে। হাসপাতালে প্রেমিকা লামিয়াকে মৃত ঘোষণার পর লাশ ফেলেই ইউনিফর্ম পরিহিত ওই প্রেমিক পালিয়ে গেছেন।
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য সোহাগের বাড়ি মানিকগঞ্জ জেলায়। তার স্ত্রী ও এক সন্তান রয়েছে। আর গাজীপুরের কাপাশিয়া থানার তরগাঁও গ্রামের আলম হোসেনের দুই মেয়ের মাঝে বড় লামিয়া। ধানমন্ডির ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং এর শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
হাসপাতালে তার মা মঞ্জু বেগম জানান, তারা গ্রামের বাড়ি গাজীপুরে থাকেন। লামিয়া ধানমন্ডির ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতেই থেকে পড়ালেখা করেন। ৪ বছর আগে লামিয়া যখন গাজীপুর লেখাপড়া করতেন তখন সেখানে কর্মরত থাকা সোহাসের সাথে তার পরিচয় হয়। পরবর্তিতে তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এরপর সোহাগ গাজীপুর থেকে ঢাকায় চলে আসেন। আর লামিয়াও চলতি বছরের জানুয়ারিতে ড্যাফোডিলে ভর্তি হন।
তিনি জানান, সম্প্রতি বিয়ের দাবি করে আসছিলেন লামিয়া। তবে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানান সোহাগ। গত বৃহস্পতিবার লামিয়া মাতুয়াইলে সোহাগের বাসায় গিয়ে ঘুমের ঔষধ সেবন করেন। তখন সোহাগই তাকে হাসপাতাল থেকে স্টোমাক ওয়াশ করিয়ে মুন্সিগঞ্জে লামিয়ার নানা বাড়িতে রেখে আসেন।
তিনি আরও জানান, এই খবর শুনে তিনি ছোট মেয়েকে নিয়ে গাজীপুর থেকে মুন্সিগঞ্জে মেয়ের কাছে যান। সেখান থেকে লামিয়া আবার সোহাগের বাসায় আসবে বলে জানান। এজন্য রবিবার তিনি দুই মেয়েকে নিয়ে মুন্সিগঞ্জ থেকে মাতুয়াইলে সোহাগের বাসায় আসেন। এরপর সোহাগ আর লামিয়া এক সাথেই থাকতো।
লামিয়ার ছোট বোন মায়শা আলম জানায়, আজ মাতুয়াইলে সোহাগের বাসা থেকে গাজীপুর চলে যাওয়ার কথা ছিল তাদের। তবে সকালে সোহাগ যখন কর্মস্থলে চলে যান তারপর ফোনে তার সঙ্গে বিয়ে নিয়ে লামিয়ার রাগারাগি হয়। একপর্যায়ে লামিয়া রুমের দরজা বন্ধ করে দেন। তখন অনেক ডাকাডাকি করলেও তিনি দরজা খুলেননি। অনেকক্ষণ ধাক্কাতে থাকলে একসময় একাই দরজা খুলে যায়। তখন তারা দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন লামিয়া। সঙ্গে সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে তাকে নিচে নামান। এরপর সোহাগকে খবর দিলে তিনি গিয়ে বাসা থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন তাকে। মৃত ঘোষণার পর অবস্থা বেগতিক দেখে হাসপাতাল থেকেই ইউনিফর্ম পড়া পুলিশ সদস্য সোহাগ দৌড়ে পালিয়ে যান।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) মো. বাচ্চু মিয়া মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঘটনাটি যাত্রাবাড়ী থানায় জানানো হয়েছে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।