
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ভরিতে ২ হাজার টাকা বেড়ে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ স্বর্ণের দাম

‘বাজারে সিন্ডিকেট থাকলে রমজানে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়’

অস্থির চালের বাজার

বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজারে হইচই

ভ্যাট বাড়ালেও নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে না

হাহাকার বাসাবাড়ি শিল্পকারখানায়

প্রতি হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার খেজুর গুড় বিক্রি হয় সরোজগঞ্জ হাঁটে
বেনাপোল বন্দরে ঘোষণাবর্হিভূত চিকিৎসাসামগ্রী জব্দ

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৫ নম্বর শেড থেকে পণ্য খালাস নিয়ে যাওয়ার পথে ঘোষণাবর্হিভূতভাবে আমদানি করা চিকিৎসাসামগ্রী, সানগ্লাস এবং বিভিন্ন ধরনের ওষুধ ভর্তি একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করেছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে পণ্য চালানটি বন্দর থেকে বের হওয়ার সময় আহাদ পার্সেলের যশোর ট-১১-৪৯২১ নম্বরের কাভার্ডভ্যানটি আটক করা হয়। বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সামনে কাস্টমস-বিজিবি যৌথ চেকপোস্টে আমদানিকৃত পণ্য বোঝাই কাভার্ডভ্যানটি আটক করে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
পণ্য চালানটি আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার আবু সালেহ আব্দুন নূর। তিনি জানান, গোপন সংবাদে জানা যায়, বন্দরের ৩৫ নম্বর শেড থেকে কাস্টমস এবং বন্দরের সব কার্যক্রম শেষ করে ঘোষণা বর্হিভূত মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট, সানগ্লাস এবং বিভিন্ন ধরনের উন্নতমানের মেডিসিনসহ চালানটি কাস্টমস হাউসের যৌথ চেকপোস্টে আসছে। সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকির পণ্যচালানটি বাঁশকল চেকপোস্টে আসামাত্র আটক করা হয়। আটক করা পণ্য চালানের পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। পরবর্তী সময়ে হিসাব-নিকাশ করে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্র থেকে জানা যায়, ভারত থেকে আমদানি করা ১২ টন ওজনের ২৩৫ প্যাকেজের এই পণ্য চালানটি গত সপ্তাহে বন্দরে প্রবেশ করে। আমদানিকারকের পক্ষে কাস্টমস থেকে পণ্য চালানটি ছাড়করণের জন্য কাস্টমস হাউসে কাগজপত্র দাখিল করেন বেনাপোলের ‘মেসার্স আলতাফ অ্যান্ড সন্স’ নামের একটি সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট প্রতিষ্ঠান।
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল বন্দরে শুল্ক ফাঁকির ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। একের পর এক পণ্য চালান জব্দ হওয়ায় বন্দরের ব্যবস্থাপনা ও শেড ইনচার্জদের কর্মকাণ্ড এবং বেনাপোল স্থলবন্দরের পণ্যগার থেকে খালাস নেওয়া পণ্যচালানে কীভাবে ঘোষণাবর্হিভূত পণ্য ঢুকছে বা এ কাজে কারা জড়িত- এমন প্রশ্নও ঘুরপাক খাচ্ছে সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে।
স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেনাপোলের একটি চক্র সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে বৈধ পণ্যের সঙ্গে স্থলবন্দরের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে আমদানিনিষিদ্ধ অবৈধ পণ্য আমদানি করে সরকারের কোটি কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে বেনাপোল স্থলবন্দরের ৩৫ নম্বর শেড ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল কাফিকে একাধিকবার ফোন করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের অতিরিক্ত কমিশনার এইচএম শরিফুল হাসান বলেন, ‘বেনাপোল বন্দরে পণ্য চালান প্রবেশ ও খালাস প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করা কাস্টমস কর্তৃপক্ষের জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগ নিয়ে ঘোষণাবর্হিভূত বিভিন্ন পণ্য প্রবেশ করাচ্ছে। এ ছাড়াও বন্দরের গেট ব্যবস্থাপনা দুর্বল। আমি নতুন এসেছি, শুল্ক ফাঁকি রোধে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’ বন্দরে কন্টেইনার ব্যবস্থাপনা চালু হলে রাজস্ব ফাঁকি কমবে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।