নিউজ ডেক্স
ভেজালের ভিড়ে আসল বিদেশি পণ্য সরবরাহ করছে হোলসেল ক্লাব
নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমদানিকরা আসল ও মানসম্পন্ন পণ্য ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। সচেতন ক্রেতার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন পণ্যের ওপর বিশেষ অফারের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যাতে বিদেশে না গিয়ে দেশে থেকে সব ধরনের পণ্য ন্যায্যমূল্যে কিনতে পারে। এজন্য হোলসেল ক্লাবে ডেন্টাল ও স্কিন কেয়ার এবং সুগন্ধিপণ্যে সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ মূল্য ছাড় দিয়ে পণ্য বিক্রি করছে। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ অফার থাকবে। শুক্রবার হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, ন্যায্যমূল্যে বিশ্বমানের পণ্যসেবা দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে স্বপ্নের এ প্রতিষ্ঠান। উন্নত বিশ্বের আদলে এ মার্কেটের মাধ্যমে বাংলাদেশেই ভোক্তাদের পাইকারি মূল্যে ভেজালমুক্ত আন্তর্জাতিক মানের নিত্যপণ্য দিচ্ছে স্বনামধন্য শিল্পগোষ্ঠী ‘যমুনা গ্রুপ’। আর যমুনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত নুরুল ইসলামের স্বপ্নের বাস্তবরূপ হচ্ছে ‘হোলসেল ক্লাব’। তারই হাত ধরে প্রতিষ্ঠিত এ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন যমুনা গ্র“প ও হোলসেল ক্লাবের পরিচালক সোনিয়া সারিয়াত।
হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, ন্যায্যমূল্যে বিশ্বমানের পণ্য-সেবা দিয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে গেছে দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ শপিংমল যমুনা ফিউচার পার্কের হাইপার মার্কেট ‘হোলসেল ক্লাব’। আমরা ভেজালের ভিড়ে হোলসেল ক্লাবের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে আমদানি করা আসল পণ্য পণ্য ক্রেতাদের হাতে তুলে দিচ্ছি। যারা বিভিন্ন পণ্য কিনতে বিদেশে যায়, তারাসহ অন্যান্য ক্রেতার জন্য সব ধরনের ভোগান্তি দূর করেছে হোলসেল ক্লাব। এখানে দেশি-বিদেশি সব ব্র্যান্ডের পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি ন্যায্য ও যৌক্তিক মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে পণ্যের দাম অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে।
অন্যরা যেখানে আমদানি করা পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে, সেখানে আমরা ক্রেতার কথা চিন্তা করে পণ্যের দাম কমিয়ে বিক্রির প্রতিশ্র“তি দিচ্ছি। কারণ হোলসেল ক্লাবের অঙ্গীকার হচ্ছে গুণগতমানের পণ্য সহনীয় দামে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছানো। সে লক্ষ্যে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আমরা নামি-দামি আমদানি করা পণ্যের ওপর বিশেষ অফারে পণ্য বিক্রি করা হবে। কারণ হোলসেল ক্লাব ব্যবসা করে সেটা বলতে চাই না। হোলসেল ক্লাব ক্রেতাসাধারণকে পণ্য সরবরাহ করে সেবা প্রদান করছে। এ জন্য আমরা কুরবানির ঈদের আগে বিভিন্ন পণ্যের ওপর সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে পণ্য সরবরাহ করেছি। ঈদের পর থেকে বিভিন্ন আমদানি করা পণ্যে বিভিন্ন অফারে পণ্য বিক্রি করছি।
শুক্রবার হোলসেল ক্লাবে পণ্য কিনতে আসা রোকেয়া বেগম বলেন, উন্নত দেশের সব পণ্য এখন দেশে স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছি। তাও আবার অনেক কম দামে। হোলসেল ক্লাব কর্তৃপক্ষ ক্রেতার কথা চিন্তা করে বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পণ্য বিশেষ অফারে বিক্রি করছে, যা তাদের একটি ভালো উদ্যোগ।
সূত্র জানায়, উন্নত বিশ্বের নামিদামি মার্কেটের আদলে স্বপ্নের এ মার্কেটের আয়তন প্রায় ২ লাখ বর্গফুট। এখানে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের সব ধরনের পণ্য একই ছাদের নিচে সহনীয় মূল্যে পাওয়া যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এখানে দেশি-বিদেশি ৫০ হাজারের বেশি পণ্য রয়েছে। এর মধ্যে ৩০ হাজারের বেশি আমদানি করা পণ্য। এসব পণ্য যুক্তরাষ্ট্রের ওয়ালমার্ট, কস্টকো এবং স্যাম’স ক্লাবের মতো আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড থেকে নিজস্ব তত্ত্বাবধানে সরাসরি আমদানি হচ্ছে।
এছাড়া হোলসেল ক্লাবে মাছ, মাংস, শাক-সবজি, চাল-ডাল থেকে শুরু করে সব ধরনের নিত্যপণ্য, দেশি-বিদেশি ফল, প্রসাধনী, বেকারি আইটেম, ফলমূল, ওষুধ, আসবাবপত্র, রান্নাঘরের সরঞ্জাম, চাদর থেকে শুরু করে ঘরের যাবতীয় পণ্য, শিশুদের খাবার, বই, এমনকি পোষা প্রাণীর খাবারও রয়েছে স্বপ্নের এ মার্কেটে। আর সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় এসব পণ্যের বিশ্বখ্যাত সব ব্র্যান্ড ও দেশি ব্র্যান্ডের পসরা নিয়ে সাজানো হয়েছে এ মার্কেট। ই-কমার্সের মাধ্যমেও পণ্য মিলছে।
ফলে দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে হোলসেল ক্লাবের পণ্য পাওয়া যাচ্ছে। পাশাপাশি অনেক বড় পরিসরে হওয়ায় এখানে অনেক স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারছে। এ ছাড়া রিফ্রেশমেন্টের জন্য বেকারি অ্যান্ড রেস্টুরেন্ট রাখা হয়েছে। সেখানে ফ্রেস জুস থেকে শুরু করে কফি, আইসক্রিম ও সব ধরনের ফাস্টফুড আইটেম পাওয়া যায়।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।