
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

এবার ঢাকাবাসীকে নিয়ে নিজেই শপথ পড়ার ঘোষণা ইশরাকের

ফেরি চলাচল বন্ধ, ২ কিমি এলাকায় যানবাহনের সারি

ট্রেনে ঈদযাত্রা শুরু, নাড়ির টানে ছুটছে মানুষ

সুব্রত বাইনকে গ্রেপ্তারের পর সেনা সদরের বার্তা

বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণ কী

ফের সক্রিয় সুন্দরবনের দস্যু বাহিনী, নিয়ন্ত্রণ এখন দয়ালবাবার হাতে

হঠাৎ বিকল মেঘনা ট্রেনের ইঞ্জিন, আটকা শত শত যাত্রী
মতিঝিল আইডিয়ালের ছাত্রীকে দাতার বিয়ে করাকে ‘বিকৃত রুচির লক্ষণ’ বললেন হাইকোর্ট

আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালনা কমিটির দাতা সদস্যের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এক ছাত্রীকে বিয়ে করাকে ‘বিকৃত রুচির লক্ষণ’ বলে বর্ণনা করেছেন হাইকোর্ট।
আজ সোমবার আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের আগাম জামিন আবেদন শুনানিতে বিচারপতি শেখ মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের বেঞ্চ এমন মন্তব্য করেন।
শুনানি শেষে আদালত মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দেন।
রাজধানীর মতিঝিলের আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রীকে বিয়ের ঘটনায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির দাতা সদস্য খন্দকার মুশতাক আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছেন ছাত্রীর বাবা। মামলায় অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকে সহযোগী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
আজ শুনানিতে হুইল চেয়ারে করে আদালতে হাজির হন অধ্যক্ষ। এ সময় হাইকোর্ট বলেন, ‘উনি কে? হুইল চেয়ারে কেন?’ জবাবে অধ্যক্ষের আইনজীবী রেদোয়ানুল করিম বলেন, ‘উনি আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ। পা ভেঙে যাওয়ায় তিনি হুইল চেয়ারে করে এসেছেন।’ আদালত বলেন, ‘আমরা তো গণমাধ্যমে দেখেছি উনি ছাত্রীকে নিয়ে আসামির বাগানবাড়িতে প্লেজার ট্রিপে গিয়েছেন। এটা কীভাবে সম্ভব?’ এ সময় সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহফুজুর রহমান লিখন বলেন, ‘পিকনিকে গিয়েছিলেন।’
আইনজীবী রেদোয়ানুল করিম বলেন, ‘আসামির সঙ্গে ওই ছাত্রীর বিয়ে হয়ে গেছে।’ আদালত বলেন, ‘এ তো বিকৃত রুচির লক্ষণ। ওই ছাত্রী কোন ক্লাসে পড়ে?’ আইনজীবী বলেন, ‘ইন্টারমিডিয়েটে।’ আদালত বলেন, ‘বয়স কত হয়েছে?’ আইনজীবী বলেন, ‘১৮ বছর ৬ মাস পূর্ণ হয়েছে।’
এ পর্যায়ে হাইকোর্ট বলেন, ‘মেয়ের বয়স ১৮ বছরের ওপরে। যখন ভিকটিম সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভে এসে বলে আমি স্বেচ্ছায় বিয়ে করেছি তখন কি মামলা থাকে? আমরা যদি ওই লাইভ না দেখতাম তাহলে বিষয়টি অন্যভাবে বিবেচনার সুযোগ ছিল। এ যেন প্রেমের মড়া জলে ডোবে না’র মতো অবস্থা!’
অধ্যক্ষের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।