মনোনয়ন পেয়েও স্বস্তিতে নেই আনোয়ারুজ্জামান – দৈনিক গণঅধিকার

মনোনয়ন পেয়েও স্বস্তিতে নেই আনোয়ারুজ্জামান

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৩ | ৫:৩২
সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়ে চমক দেখিয়েছেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী। তবে সবার নজর বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীর দিকে। তিনি প্রার্থী হলে সরকারদলীয় প্রার্থীকে কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়তে হবে। অন্যদিকে, জাতীয় পার্টি দলীয় ফোরামে ঘোষণা না করলেও প্রচার চালাচ্ছেন দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও মহানগরীর আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল। মৌখিকভাবে দলের হাইকমান্ডের সম্মতি পেয়ে তিনি ‘লাঙ্গল’ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে পোস্টারিং করেছেন। এ ছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী হিসেবে গত ৩১ মার্চ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহমুদুল হাসানকে প্রার্থী ঘোষণা করে দলটি। মেয়র পদে এখন পর্যন্ত তিন প্রার্থীকে সরাসরি দেখা গেলেও এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। বিশেষ করে বর্তমান মেয়র বিএনপি নেতা আরিফুল হক চৌধুরীকে নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। এ বিষয়ে গতকাল রোববার বিকেলে তিনি যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেও কিছু স্পষ্ট করেননি। দু-চার দিনের মধ্যে তিনি নির্বাচনী সংকেত ‘লাল, না সবুজ’– ব্যাখ্যা করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে না গেলে আমি নির্বাচনে কীভাবে অংশ নেব? দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে কথা হয়েছে। তিনি সংকেত দিয়েছেন। সেই সংকেত ‘লাল, না সবুজ’– সবাই জানতে পারবে শিগগিরই। জনগণের ভালোবাসার প্রতি আমি সব সময় শ্রদ্ধাশীল। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে তারেক রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে আরিফুল হককে দুটি বাছাই দেন তারেক জিয়া। এর একটি দলের কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্টের পদ, অন্যটি সিটি নির্বাচন। নির্বাচন না করলে তাঁকে ভাইস প্রেসিডেন্ট করা হবে। আর নির্বাচন করলে পদত্যাগ করতে হবে। এ দুটি অপশনকে আরিফুল হক ‘লাল ও সবুজ’ সংকেত হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর সিদ্ধান্তের ওপরেই নির্ভর করছে অন্য মেয়র প্রার্থীদের হিসাব-নিকাশ। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক ও নাগরিক সমাজের ব্যক্তিরা মনে করছেন, আরিফুল হক ভোটের মাঠের ‘বড় ফ্যাক্টর’। দ্বিতীয় মেয়াদ পর্যন্ত নগরকে একটা পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নগরবাসীর সহানুভূতি পাবেন তিনি। তিনি নির্বাচন না করলে বিএনপি ও জামায়াতের ভোট কার বাক্সে পড়বে, সেটাও হিসাবের বিষয় বলে মনে করেন তাঁরা। এ ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের নতুন প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামানকে ভাবতে হবে বেশি। তরুণ প্রজন্মের অনেকে তাঁকে ‘ডায়নামিক’ উল্লেখ করে তাঁর মাধ্যমে নগর উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করছে। ২০০২ সালে সিটি করপোরেশন ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের বদর উদ্দিন আহমদ কামরান একবার সরকার মনোনীত এবং দু’বার নির্বাচিত মেয়র হন। সর্বশেষ দু’বার তিনি বিএনপির আরিফুল হকের কাছে পরাস্ত হন। সেই হিসাবে ২২ বছর পর নতুন প্রার্থী দেয় আওয়ামী লীগ। নতুন প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, দল আমার ওপর ভরসা করেছে। সেই ভরসার মর্যাদা রক্ষা করব। আমি স্মার্ট নগরী গড়তে চাই। সরকার ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা নগর উন্নয়নে দিয়েছে। সেই টাকার সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না। পরিকল্পনা দরকার। দলে অসন্তোষ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার প্রার্থিতা ঘোষণার পরই ৫০-৬০ শতাংশ নেতাকর্মী আমাকে সমর্থন দেন। দল আমাকে মনোনীত করার পর শতভাগই আমার পক্ষে। মনোনয়নবঞ্চিত নেতারাও আমার পক্ষে কাজ শুরু করেছেন। এদিকে গতকাল রোববার আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দোয়া চেয়েছেন। পরে তিনি গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান। আজ সোমবার তাঁর সিলেট ফেরার কথা। নেতাকর্মীরা বিমানবন্দরে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাবেন। জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ছাড়াও দলের নেতা আমেরিকা প্রবাসী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী ও যুক্তরাজ্য জাতীয় পার্টির সহসভাপতি আবদুস সামাদ প্রচারণা চালাচ্ছেন। তাঁদের মধ্যে বাবুলই মাঠে রয়েছেন। শিল্পপতি বাবুল এক সময় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। কয়েক বছর আগে তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। প্রার্থিতা বিষয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে জেলা ও মহানগর জাতীয় পার্টি সভা করে আমাকে এককভাবে প্রার্থী ঘোষণা করেছে। হাইকমান্ডের সংকেত পেয়েই আমি প্রচারণায় নেমেছি। ব্যবসাবান্ধব নগরী গড়ার কথা উল্লেখ করে বাবুল বলেন, প্রকৃত অর্থে নগরীতে উন্নয়ন হচ্ছে না। আমি চাইব প্রকৃত উন্নয়ন করতে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাফিজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। ইভিএমের মাধ্যমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত থেকে নির্বাচন কমিশনকে সরে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক নির্বাচনে আমরা ভালো করছি। সিলেটেও ভালো করব। বিভিন্ন পেশার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেবে না বিএনপি, জামায়াতসহ বিভিন্ন দল। এমনকি একাধিক বাম দলও অংশ নেবে না। জামায়াতসহ বিভিন্ন ইসলামী দলের ভোট একটা প্রভাবক। আরিফুল হক নির্বাচন না করলে ওইসব ভোট কার বাক্সে যাবে– সেটা নির্ভর করবে প্রার্থীদের ব্যক্তিগত কৌশলের ওপর।

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
পার্বত্য চট্টগ্রামে ইন্টারনেট বন্ধের কোনো নির্দেশনা নেই বিচার বিভাগ থেকে যেন কোনো অবিচার না হয় : আইন উপদেষ্টা গার্মেন্টস খাতে অস্থিতিশীলতায় প্রতিবেশী দেশের ইন্ধন: শ্রম সচিব হত্যাকারীদের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে রেখে ভালো কিছু সম্ভব না: মির্জা ফখরুল চাটমোহরে ছাত্রদল নেতা গুলিবিদ্ধ, কাটা হয়েছে পায়ের রগ দেশ গঠনের বার্তা দেবেন তারেক রহমান পিতাপুত্রের টাকা পাচার যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে: মুজিবুর রহমান বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় কুষ্টিয়ার বিভিন্ন সরকারি কলেজের দাপুটে শিক্ষক মহোদয়দের অনৈতিক কার্যকলাপ কুমারখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলোনে শহীদদের স্বরণে নাগরিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত। ত্রাণ নিয়ে মানুষ ছুটছে টিএসসিতে ভারতের বাঁধ ভাঙা পানিতে ডুবছে গ্রামের পর গ্রাম বন্যা মোকাবিলায় বাংলাদেশ–ভারতের নতুন ব্যবস্থার প্রস্তাব: প্রধান উপদেষ্টার ২১ দশমিক ৬ শতাংশ টাওয়ার অচল চট্টগ্রামের সঙ্গে সারা দেশের ট্রেন চলাচল বন্ধ বন্যার্তদের উদ্ধারে সেনা মোতায়েন এখন পর্যন্ত ৩৬ লাখ মানুষ বন্যাকবলিত বন্যায় ভয়াবহ বিপর্যস্ত ১২ জেলা, মৃত্যু ৮ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের রিট শুনানি ঘিরে সারাদেশে সতর্ক পুলিশ তাহিরপুর বিভিন্ন ছড়া ও নদীর খনিজ বালু হরিলুট,যেন দেখার কেউ নেই