
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

৪৮ ঘণ্টায় ১০০-র বেশি কম্পন, বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা

আমেরিকা দখল কেন অসম্ভব?

ইউক্রেনে শতাধিক ড্রোন হামলা চালাল রাশিয়া

ইসরাইলের হামলায় গাজায় নিহত আরও ৮৮

ইসরায়েলের কাছে ৮ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করবে যুক্তরাষ্ট্র

ট্রাম্পের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের সাথে অর্থনৈতিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে আগ্রহী ভারত

শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ ও চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন প্রসঙ্গে ভারত
মার্কিন নিন্দাকে উপেক্ষা করে পুতিনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ভিয়েতনাম

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের জন্য লাল গালিচা প্রস্তুত করেছে ভিয়েতনাম। বুধবার (১৯ জুন) রাতে তিনি হ্যানয় পৌঁছাবেন। ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত পুতিনের এই সফরকে প্রচারণামূলক হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। তার এই সফর ভিয়েতনামের কমিউনিস্ট নেতাদের জন্য সুবিধা ও ঝুঁকি নিয়ে আসতে পারে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানা গেছে।
পিয়ংইয়ংয়ে উত্তর কোরীয় নেতার সঙ্গে আলিঙ্গন ও বৈঠকের পর বুধবার রাতে হ্যানয় পৌঁছাবেন পুতিন। আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্নতার মুখে রয়েছে উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়া। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সতর্ক মিত্রতার সম্পর্ক জারি রেখেছে ভিয়েতনাম। রুশ নেতাকে আমন্ত্রণ জানানোর কারণে ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচনার মুখে পড়েছে দেশটি।
হাওয়াই-ভিত্তিক ইনোয়ি এশিয়া-প্যাসিফিক সেন্টার ফর সিকিউরিটি স্টাডিজ-এর আলেক্সান্ডার ভুভিং বলেছেন, মার্কিন বিরোধিতার কারণে ভিয়েতনাম সফর রুশ নেতা পুতিনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। রাশিয়া বিশ্বকে বার্তা দিতে চায় যে, সব জায়গায় তাদের বন্ধু রয়েছে এবং মস্কোকে বিচ্ছিন্ন করার পশ্চিমা চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
হ্যানয়ের নিজস্ব স্বার্থ রয়েছে উল্লেখ করে ভুভিং বলেছেন, ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রনীতিতে রাশিয়ার অনন্য ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। হ্যানয়ের গুরুত্বপূর্ণ অস্ত্র সরবরাহকারী হলো মস্কো।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন আক্রমণের পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে পশ্চিমারা ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইউক্রেনে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে। তিনি এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। রাশিয়া ও ভিয়েতনাম, কেউই আইসিসির সদস্য নয়।
মে মাসে পঞ্চম মেয়াদে ক্ষমতাগ্রহণের পর ভিয়েতনাম হবে পুতিনের সফর করা তৃতীয় দেশ। এর আগে তিনি চীন ও উত্তর কোরিয়া সফর করেছেন। আইসিসির গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর খুব কম বিদেশ সফর করছেন তিনি।
২০১৭ সালের পর প্রথম এবং সব মিলিয়ে পঞ্চমবার ভিয়েতনাম সফর করবেন পুতিন। তাকে পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রীয় অভ্যর্থনা দেওয়া হবে। হ্যানয়ের বিমানবন্দর থেকে শুরু করে একাধিক সড়কে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
দুই দেশের কমিউনিস্ট ঐতিহ্য রয়েছে। শীতল যুদ্ধের সময় লাখ লাখ ভিয়েতনামি ক্যাডার সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নে অধ্যয়ন করেছেন। ভিয়েতনাম কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমান প্রধান নগুয়েন ফু থ্রংও তাদের মধ্যে একজন।
ভিয়েতনামের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দৈনিক পত্রিকার এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভিয়েতনাম-রাশিয়া সম্পর্কে অনেক অবদান রেখেছেন।
ভিয়েতনামের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার যুক্তরাষ্ট্র পুতিনের সফরের বিরোধিতা করেছে। হ্যানয়ে নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেছেন, কোনও দেশের উচিত না পুতিনকে তার আগ্রাসী যুদ্ধের প্রচারের জন্য কোনও মঞ্চ দেওয়া।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।