
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

আজ ঢাকায় আসছে মার্কিন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল

সংসদ ভবনের সামনে চলছে নববর্ষের কনসার্ট

অপরাধীদের ‘সেকেন্ড হোম’ বস্তির ৩০০ ঘর

সরকারি ফার্মেসি: সম্ভাবনার পাশাপাশি আছে নানা চ্যালেঞ্জও

বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-মেঘালয় করিডোর চান সাংমা

সীমান্তে ফের বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করল বিএসএফ

আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি প্রত্যাশিতভাবে ক্ষমতায় আসবে: এএফপি
রোহিঙ্গাদের আকুতি শুনলেন মার্কিন প্রতিনিধি দল

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল। এ সময় রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা নাগরিকত্ব ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার হাত বাড়াতে তাদের প্রতি আকুতি জানান।
রোহিঙ্গাদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন মার্কিন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তবে তাৎক্ষণিক তারা কোনো মন্তব্য করেননি।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে থাকা ক্যাম্প সংশ্লিষ্টরা এ তথ্য জানান।
সোমবার সকালে মার্কিন প্রতিনিধি দল কক্সবাজার বিমানবন্দরে নেমে আইএসসিজির অফিস হয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যান। ১১ সদস্যবিশিষ্ট মার্কিন কংগ্রেস প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল ডেমোক্রেটিক পার্টির এড কেইস ও রিপাবলিকান পার্টির রিচার্ড ম্যাককর্মিক। ক্যাম্পে তারা প্রায় ৪ ঘণ্টা অবস্থান করেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ৮ এপিবিএনের অধিনায়ক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) আমির জাফর জানান, উখিয়ার বালুখালীর ১২ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের রেজিস্ট্রেশন কেন্দ্রে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন প্রতিনিধি দল। এরপর তারা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) সৈয়দ হারুনুর রশীদ জানান, কুতুপালং ১১ নম্বর ক্যাম্পের সি/১ ব্লকের সান লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করে মার্কিন প্রতিনিধি দল। ইউএনএইচসিআর’র উৎপাদন ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পরিদর্শন করেন। এরপর রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলের সঙ্গে তারা মতবিনিময় করেন। এ সময় রোহিঙ্গারা নাগরিকত্ব ও সম্মানজনক প্রত্যাবাসনে সহযোগিতার হাত বাড়াতে তাদের প্রতি আহবান জানান। বিকালে কক্সবাজারের উদ্দেশে তারা রোহিঙ্গা ক্যাম্প ত্যাগ করেন।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে। তখন সীমান্ত অতিক্রম করে লাখ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে এসে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই এখানে ছিল আরও কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। এদিকে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফেরানোর চেষ্টা করেও তা সম্ভব হয়নি। আন্তর্জাতিক চাপে মিয়ানমার বারবার আশ্বাস দিলেও একজন রোহিঙ্গাকেও নিজ দেশে ফিরিয়ে নেয়নি।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।