নিউজ ডেক্স
আরও খবর
জামায়াতের ক্ষমা প্রার্থনা: তিন আমির, তিন ভাষা
কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ
খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ
রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, তরুণরা কেন বেশি বিশ্বাস করে
নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয় তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে: জয়ন্ত কুমার কুন্ডু
নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে: জামায়াত
জুলাই ঘোষণাপত্র নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের শুরু : ফখরুল
লিভার জটিলতায় ভুগছেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জ্বর কমেছে। কিন্তু তিনি লিভার জটিলতায় ভুগছেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, সঠিক সময়ে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া গেছে লিভারের সমস্যা এতোটা প্রকট হতো না সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর।
লিভারের জটিলতার কারণে আরও কয়েকদিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিএনপি প্রধান।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তির সময় খালেদা জিয়ার শরীরের তাপমাত্রা যেমন ছিল এখন তা নেই। কিন্তু লিভারে জটিলতা থেকে পরিত্রাণ পাননি ৭৮ বছর বয়সি এই রাজনীতিক। তাই আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হবে।
খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার বলেন, চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়তো চিকিৎসকরা ভালো বলতে পারবেন।
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বিগ্ন বিএনপি নেতারা বলছেন, আসলে দেশে খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসের সম্পূর্ণ চিকিৎসা সম্ভব নয়। এখন ওনার যে চিকিৎসা চলছে, সেটা হচ্ছে রোগটা যেন আর না বাড়ে এবং নিয়ন্ত্রণ রাখা যায় তারই চেষ্টাই চলছে।
বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, ম্যাডামের জ্বর কিছুটা কমেছে। কিন্তু লিভারের যে সমস্যা সেটা এখনও আছে। আসলে যখন ওনার লিভারের জটিলতা তৈরি হয়েছিলো, তখন যদি বিদেশে চিকিৎসা করতে দেওয়া হতো তাহলে আজকে এই সমস্যার সৃষ্টি হত না।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ তাকে নির্বাহী আদেশে ‘সাময়িক মুক্তি’ দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফা তার দণ্ডাদেশ স্থগিতের মেয়াদ বাড়ানো হয়।



দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।