
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ঈশ্বরদীতে টানা ৪০ দিন মসজিদে নামাজ পড়ে বাইসাইকেল উপহার পেলেন শিক্ষার্থীরা

মাহফিলে পদদলিত হয়ে আহত ৩০

একদল যায়, আরেক দল এসে লুটে খায়

রূপপুরে গ্রিনসিটির ৪ তলা থেকে লাফ দিয়ে রুশ নারীর আত্মহত্যা

কুষ্টিয়ায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিএনপি নেতার বাড়ি থেকে অস্ত্র-বোমা উদ্ধার

মধুখালীতে সাংবাদিকের বাবা-মাসহ ৩ জনকে কুপিয়ে জখম

আজও পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ
শৈলকূপা থানায় হামলার নেতৃত্ব দেয় স্থানীয় মেয়রের ছেলে: ডিবি

ঝিনাইদহের শৈলকূপা থানায় হামলার ঘটনায় কাজী রফিকুল আশরাফ রাজীবকে (৪০) আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলা শহরের চৌরাস্তা মোড় থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটককৃত রফিকুল আশরাফ রাজীব শৈলকূপা পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি কাজী আশরাফুল আজমের ছেলে।
এর আগে গত ৯ জুন দুপুরে উপজেলার ধাওড়া গ্রামের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মোস্তাক শিকদারকে একটি মামলায় গ্রেফতার করে থানা নিয়ে যায় পুলিশ। এসময় তাকে ছিনিয়ে নিতে কয়েকশ লোক থানা ঘেরাও করে ইট-পাটকেল ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে পুলিশসহ অন্তত ২৫ জন আহত হন। সেসময় আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন বেশ কয়েকজন।
পরে আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। ওইদিন রাতেই ১১৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫০০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয় শৈলকূপা থানায়। পুলিশের উপ-পরিদর্শক লাল্টু রহমান মামলাটি করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও ঝিনাইদহ গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. জুয়েল ইসলাম বলেন, শুরু থেকেই মামলাটি তদন্ত করছিল গোয়েন্দা পুলিশ। তদন্তের এক পর্যায়ে থানায় হামলার ঘটনায় শৈলকূপা পৌরসভার মেয়রের ছেলে কাজী রফিকুল আশরাফ রাজীবের সম্পৃক্ততা ও নেতৃত্ব দানের সত্যতা পাওয়া যায়। ফলে তাকে গ্রেফতারে অভিযান শুরু করে গোয়েন্দা পুলিশ। এর পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে শৈলকূপা শহরের চৌরাস্তা মোড় থেকে রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। মামলার বাকি আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
রাজীবের বাবা পৌর মেয়র আশরাফুল আজম মোবাইলে বলেন, থানায় হামলার ঘটনায় আমার ছেলেকে নিয়ে সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যা কথা বলছে তারা (পুলিশ)। এর কোনো প্রমাণ দেখাতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, আমার ছেলের নাম বলানোর জন্য এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে আসামিরা প্রথমে ধরা পড়েছিলেন তাদের রিমান্ডে নিয়ে টর্চার করা হয়। এমনকি জোরপূর্বক তাদের দিয়ে আমার ছেলের নাম বলানো হয়েছে। এটা মোটেই ঠিক না।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।