নিউজ ডেক্স
আরও খবর
জামায়াতের ক্ষমা প্রার্থনা: তিন আমির, তিন ভাষা
কুষ্টিয়ায় মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতার সমর্থকদের দ্বিতীয় দিনে সড়ক অবরোধ
খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ
রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, তরুণরা কেন বেশি বিশ্বাস করে
নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয় তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে: জয়ন্ত কুমার কুন্ডু
নির্বাচন জুলাই সনদের ভিত্তিতে হতে হবে: জামায়াত
জুলাই ঘোষণাপত্র নতুন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে রূপান্তরের শুরু : ফখরুল
হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ ব্যাপক সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধসহ আহত শতাধিক
হবিগঞ্জে বিএনপির পদযাত্রায় নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে সদর থানার ওসিসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েকশ রাউন্ড রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে শনিবার বিকাল ৫টার দিকে জেলা বিএনপি শায়েস্তানগর এলাকা থেকে মিছিল বের করে। মিছিলটি শায়েস্তানগর পয়েন্ট হয়ে ঈদগাহ রোড ঘুরে পুনরায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে। এ সময় নেতাকর্মীরা নানা স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পুলিশ বাধা দেয়।
একপর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে সংঘর্ষ বাধে। দলীয় নেতাকর্মীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। পুলিশও পাল্টা কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। দফায় দফায় চলে পালটাপালটি ধাওয়া ও সংঘর্ষ।
এতে সদর থানার ওসি অজয় চন্দ্র দেব গুরুতর আহত হন। তাকে সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হন হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এসএম আওয়ালসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী।
বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক সাবেক মেয়র জিকে গউছ জানান, শনিবার কেন্দ্রীয় নির্ধারিত কর্মসূচি ছিল। শান্তিপূর্ণভাবে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছলে পুলিশ অতর্কিত হামলা চালায়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খলিলুর রহমান সংঘর্ষ বাধিয়েছেন। কোনো উত্তেজনা ছিল না। তিনি হঠাৎ পুলিশকে গুলি ছোড়ার নির্দেশ দেন। পুলিশ দফায় দফায় গুলি ছুড়তে থাকে।
তিনি আরও বলেন, তারা আমার বাসায় এসেও গুলি ছুড়েছে। আমাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। অনেককেই আমার ঘর থেকে টেনেহিঁচড়ে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ রঞ্জন দে জানান, বিএনপির কর্মসূচি চলাকালে দলটির নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা করে। এতে আমাদের সদর থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হয়েছেন। পরবর্তীতে পুলিশ তাদের প্রতিহত করে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।