
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

ঈদের পর আসছে জিম্বাবুয়ে, সূচি প্রকাশ

বাড়িতে বসে রোজা রাখা সহজ, খেলতে নেমে নয়!

ভারতের বিপক্ষে ইচ্ছে করেই খারাপ খেলেন ম্যাক্সওয়েল, দাবি সাংবাদিকের

চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মাদ্রিদ ডার্বি জয় রিয়ালের

সেমিতে আজ দুই দুর্ভাগা দলের লড়াই

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন দ. আফ্রিকা, ইংলিশদের হারে বিশাল লাভ বাংলাদেশের

ইংল্যান্ডের নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন বাটলার
১ রানে স্বপ্ন ভঙ্গ নেপালের

চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় ছিল নেপাল। সুপার এইট নিশ্চিত করা দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে দেওয়ার অবস্থাতেই ছিল। কিন্তু শেষ দিকে পথ হারিয়ে মাত্র ১ রানে স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে তাদের। তাতে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে তিন ম্যাচে দ্বিতীয় পরাজয়ে নেপালের বিদায় নিশ্চিত হয়েছে।
সেন্ট ভিনসেন্টে জায়ান্টদের বিপক্ষে জয়ের পাল্লা ঝুঁকে ছিল নেপালের দিকে। বড় অঘটন জন্ম দেওয়ার সুবাস পাচ্ছিল তারা। শেষ বলে প্রয়োজন ছিল দুই রান। বার্টম্যানের বল ব্যাটে না লাগলেও স্ট্রাইকে থাকা গুলশান ঝা দৌড় লাগালেন। তখন বল নিয়েই থ্রো করেছিলেন কুইন্টন ডি কক। বলটা গিয়ে গুলশানের পিঠে লাগলে সেটা পেয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন ক্লাসেন।
ভীষণভাবে এগিয়ে থাকা নেপালের বিপক্ষে ম্যাচটা জমিয়ে তোলে প্রোটিয়া লেগ স্পিনার তাবরাইজ শামসি। তার ঘূর্ণিতেই ম্যাচে ফেরে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৭ ওভার শেষে স্কোর ছিল ৯৮ রানে ৩ উইকেট। ১৮ বলে প্রয়োজন ১৮ রান। পরের ওভারেই জোড়া আঘাতে নেপালকে বিপদে ফেলেন তাবরাইজ শামসি। তুলে নেন শুরু থেকে জয়ের পথ দেখানো আসিফ শেখ (৪২) ও দীপেন্দ্র সিং এইরির (৬) উইকেট। পরের ওভারে নর্কিয়া মাল্লার উইকেট নিলে থ্রিলারে পরিণত হয় ম্যাচ। সোম্পাল কামি একই ওভারে ৬ মেরে ৬ বলে ৮ রানের সমীকরণে ম্যাচটা নিয়ে আসেন। শেষ ওভারে সেই রান ভালো মতোই ডিফেন্ড করেছেন বার্টম্যান। প্রথম দুই বল ডট দেন দিয়েছেন। তৃতীয় বলে গুলশান ৪ মেরে আবারও সম্ভাবনা জোরালো করেন। পরের বলে দুই রানও নিয়েছেন তিনি। কিন্তু পঞ্চম বলে ডট দিয়ে শেষ বলের সমীকরণে দিশা হারিয়ে ফেলে নেপাল। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেটে তারা থামে ১১৪ রানে।
১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা শামসি। একটি করে নিয়েছেন আইনরিখ নর্কিয়া ও এইডেন মারক্রাম।
আর্নস ভ্যালে স্টেডিয়ামে শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে তাদের ৭ উইকেটে ১১৫ রানে আটকে রাখতে পেরেছিল নেপাল। ওপেনার রিজা হেনওড্রিকসের ৪৯ বলে ৪৩ রানই ছিল মূল প্রভাবক। তাছাড়া ১৮ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন ত্রিস্টান স্টাবস। কুইন্টন ডি কক (১০) ও এইডেন মারক্রামরা (১৫) জ্বলে উঠতে পারেননি। বাকিরাও ব্যর্থ ছিলেন।
নেপালের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন লেগ স্পিনার কুশল ভুর্টেল। ১৯ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২১ রানে ৩টি নিয়েছেন দীপেন্দ্র সিং এইরি।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।