নিউজ ডেক্স
আরও খবর
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাদকসহ গ্রেপ্তার ১ জন
তাহিরপুর বিভিন্ন ছড়া ও নদীর খনিজ বালু হরিলুট,যেন দেখার কেউ নেই
বগুড়ায় শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ১০১ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
খুলনায় যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
চলন্ত ট্রেনে তরুণীকে ধর্ষণ মামলায় ৪ আসামি রিমান্ডে
উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়
বগুড়ায় তুচ্ছ ঘটনার জেরে মুরগির খামারিকে ড্রেনে চুবিয়ে হত্যা
৫ কোটি টাকা ‘আত্মসাৎ’এর পর ফেসবুকে স্ট্যাটাস
আত্মগোপনে থেকে সেই ছাত্রলীগ নেতা
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কয়েক কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শান্ত কুমার রায় নামের এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে। জেলার নবীনগর থানায় তার বিরুদ্ধে অন্তত ১২ জন অভিযোগ করেছেন।
এ অবস্থায় শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে আত্মগোপনে থাকা ছাত্রলীগ নেতা শান্ত কুমার রায় তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। সেই স্ট্যাটাসে তিনি দাবি করেন, একজন তার কাছে দুই কোটি টাকা দাবি করলে তিনি ৪০ লাখ দিয়েছিলেন। তারপরও তাকে হুমকি দেওয়ায় তিনি পালিয়ে গেছেন।
শান্ত কুমার রায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের নির্মল রায়ের ছেলে। তিনি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ-সমাজসেবা বিষয়ক সম্পাদক। রয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদেও। ছাত্রলীগের রাজনীতির পাশাপাশি সক্রিয় সদস্য ছিলেন ইসকনের (ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেস)। শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে তিনি পলাতক। পাওনা টাকার বিষয়ে শুক্রবার পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে ১২ জন লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে ছাত্রলীগ নেতা শান্ত লিখেছেন, ‘প্রিয় দেশবাসী, আজ আমি সবার কাছে খারাপ কিন্তু বিবেচনা করুন আমি কেন এমন হলাম! যে আমি বিনামূল্যে একটি চকলেটও কারও কাছ থেকে খাইনি কেন এত বড় অপরাধী হলাম। যাকে কোটি কোটি টাকা দিলাম, জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় নষ্ট করলাম তার জন্য আজ আমার এ অবস্থা। যার কথা বলছি, সে কিছুদিন আগে আমার কাছ থেকে দুই কোটি টাকা চাইলো। আমি ৪০ লাখ টাকা দিলাম। পরে বললাম, ভাই, আমি আর পারছি না। সে বললো তোমার বাবার কাছে বলো। আমি বললাম, আমার বাবার সঙ্গে আমার সম্পর্ক ভালো না। তাছাড়া আমার বাবার ব্যবসা এখন নষ্ট হয়ে গেছে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ নেই। তারপর সে বলে, আমি কিছু বুঝি না, টাকা আমার লাগবে। পরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ। আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে সে ও তার সহযোগীরা।
ছাত্রলীগ নেতা শান্তর ভাষ্য, ‘যেতেতু আমি ব্যবসা করেছি তাই আমার দেনা-পাওনা আছে। কিন্তু আজ সে তিলকে তাল করে আমার ও আমার বাবার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও খবর প্রকাশ করছে। যারা আমার কাছ থেকে সত্যিকারের টাকা পাওনাদার তারা একদিন তা ফেরত পাবেন। আর যারা মিথ্যা-বানোয়াট অভিযোগ করেছেন তাদের বিচার আইন দেখবে।’
তবে ছাত্রলীগ নেতা শান্ত তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে তার কাছে দুই কোটি টাকা কে দাবি করেছিলেন, কেন করেছিলেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি। কোথায় অবস্থান করছেন, তাও জানাননি।
এ বিষয়ে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুদ্দিন আনোয়ার গণঅধিকার নিউজ কে বলেন, শান্ত রায়ের ফেসবুক স্ট্যাটাস আমাদের নজরে এসেছে। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। তার বিষয়ে তদন্ত অব্যাহত আছে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।