নিউজ ডেক্স
আরও খবর
নারায়ণগঞ্জ শহরে যানজট নিরসনে যৌথ অভিযান
কার্যক্রম চালুর অপেক্ষায় আইকনিক রেলওয়ে স্টেশন
আলিফ হত্যার প্রতিবাদে সুনামগঞ্জে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বিক্ষোভ
২৮ কেজি গাঁজাসহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে রণক্ষেত্র
জুলাই বিপ্লবে আহত সুজনকে আর্থিক অনুদান দিলেন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা প্রশাসন
শেরপুরে মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
৭ লাখ টাকা দেনমোহরে দাদিকে বিয়ে করল নাতি
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন এক যুবক।
উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে বুধবার (৩১ মে) বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে তাদের একনজর দেখতে বাড়িতে ভিড় করছে স্থানীয় মানুষ।
বিয়ে করা নাতি মো. মিরাজ (২৩) শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের বাসিন্দা।গত ২১ মে ভোলা গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে তারা বিয়ে করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মিরাজের দাদা শাহে আলম ব্যাপারী তিনটি বিয়ে করেন। সামসুন্নাহার বেগম (৪২) মিরাজের দাদার তৃতীয় স্ত্রী। কিন্তু মিরাজ দাদার প্রথম স্ত্রীর নাতি। প্রায় দেড় বছর আগে মিরাজের দাদা শাহে আলম মারা যান। এরপর থকে তিন সন্তানের জননী সামসুন্নাহার একা হয়ে পড়েন। এ সময় তাকে দেখাশোনার দায়িত্ব নেন নাতি মিরাজ।
এদিকে দাদি সামসুন্নহারের বাড়ি যাতায়াত করতে থাকেন মিরাজ। পরে স্থানীয়রা তাদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে থাকেন। এই কারণে নাতি মিরাজ ও সামসুন্নাহার গত ২১ মে ভোলা গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন। পরে একই দিন নাতি ও দাদিকে কাজির মাধ্যমে আবারও বিয়ে করেন।
ভোলায় গিয়ে মিরাজ আর আমি বিয়ে করেছি। গত ২১ মে বিয়ে করার পর থেকে মিরাজ আমার বাড়িতেই আছেন। আমরা খুব ভালো আছি বলে জানান দাদি সামসুন্নাহার বেগম।
এ বিষয়ে মিরাজ জানান, আমি দাদিকে বিয়ে করে কোনো পাপ করিনি। আমি নিয়ম মেনেই বিয়ে করেছি। আমাদের সংসার সুখেই চলছে।
দাদি ও নাতির বিয়ের খবরটি শুনেছি। প্রাথমিকভাবে জেনেছি, জোর করে কেউ কাউকে বিয়ে করেনি বলে জানান শশীভূষণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিজানুর রহমান পাটওয়ারী।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।