৮১ থেকে ২৪; আ.লীগের ১১ এমপি খুন, দেশের বাইরে আনারই প্রথম – দৈনিক গণঅধিকার

৮১ থেকে ২৪; আ.লীগের ১১ এমপি খুন, দেশের বাইরে আনারই প্রথম

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৮ মে, ২০২৪ | ১১:০৪
পঁচাত্তরে (১৯৭৫ সাল) ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় সপরিবারের নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একই বছর ঐ সরকারের আরও ৪ মন্ত্রীকে (জাতীয় চার নেতা) জেলখানায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। জাতির পিতা ও জাতীয় চার নেতা ছাড়াও স্বাধীন বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের মোট ১১ জন সংসদ সদস্য (এমপি) হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দলীয় প্রধান ও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় (১৯৭২-১৯৭৫) থাকাকালে হত্যার শিকার হন ৭ এমপি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের প্রধান হওয়ার পর (১৯৮১-২০২৪) খুন হন আরও ৪ সংসদ সদস্য। এই চার জনের মধ্যে প্রথম দুজন আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকতে এবং পরের দুজন সরকারে থাকা অবস্থায় খুন হয়েছেন। অবশ্য সম্প্রতি হত্যার শিকার আনোয়ারুল আজীম আনারের মরদেহ এখনও পাওয়া যায়নি। তবে তাকে ভারতের কলকাতায় পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সরকারের একাধিক মন্ত্রী। শেষ পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত হলে দেশের বাইরে বাংলাদেশের কোনও এমপি খুনের ঘটনা এটিই প্রথম। আনোয়ারুল আজীম আনার ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে আওয়ামী লীগ থেকে পর পর তিন বার এমপি নির্বাচিত হন। এর আগে ২০০৯ সালে তিনি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। গত ১২ মে চিকিৎসার কথা বলে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতের কলকাতায় যান আনার। সেখানে বরাহনগর থানার মগুলপাড়া লেনে স্বর্ণব্যবসায়ী গোপাল বিশ্বাস নামে একজনের বাড়িতে ওঠেন। পরদিন বিশেষ প্রয়োজনের কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন, এরপর তার আর খোঁজ মেলেনি। পরে গত ২২ মে কলকাতা পুলিশের বরাতে জানা যায়, তিনি হত্যার শিকার হয়েছেন। ওইদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় সাংবাদিকদের জানান, কলকাতার নিউ টাউনের বিলাসবহুল আবাসন ‘সঞ্জীবা গার্ডেনে’ এমপি আজীমকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। বাংলাদেশিরাই এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত বলে দাবি করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরেন। ১৯৯১ সালে সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হন তিনি। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জিতে হন প্রধানমন্ত্রী। ২০০১ সালে আবার বিরোধী দলীয় নেতা হন শেখ হাসিনা। সেই সময় বিএনপি-জামায়াতের চার দলীয় জোট সরকারের আমলে ২০০৪ সালে গাজীপুরে আহসান উল্লাহ মাস্টার, ২০০৫ সালে শাহ এম এম এস কিবরিয়া হবিগঞ্জে নিহত হন। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট সরকারের সময় ২০১৬ সালে মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন গাইবান্ধায় নিজ বাড়িতে খুন হন। সবশেষ আনোয়ারুল আজীম আনার খুন হলেন ভারতের কলকাতায়। আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা: ২০০৪ সালের ৭ মে গাজীপুরের টঙ্গীর নোয়াগাঁও এম এ মজিদ মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক জনসভায় আহসান উল্লাহ মাস্টারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। প্রতিপক্ষ রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় বলে অভিযোগ ওঠে। আহসান উল্লাহ মাস্টার আওয়ামী লীগের নেতা ও গাজীপুরের সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে গাজীপুর-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। হত্যাকাণ্ডের পরদিন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ভাই মতিউর রহমান টঙ্গী থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। বিচার শেষে ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল আদালত ২২ জনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। দুই আসামি খালাস পান। বিচারিক আদালতে রায়ের পর মামলাটি হাইকোর্টেও শুনানি হয়। শুনানি শেষে হাইকোর্ট রায় দেন। সে রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে পৃথক পৃথক আপিল আবেদন জানায় রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিরা। এরপর আপিল বিভাগের শুনানির অপেক্ষায় মামলাটি প্রায় আট বছর ধরে ঝুলে আছে। শাহ এম এস কিবরিয়া হত্যা: ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জে বোমা হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য শাহ আবু মোহাম্মদ শামসুল কিবরিয়া। স্থানীয় আওয়ামী লীগের এক জনসভা শেষে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় কিবরিয়া ও তার ভাতিজা শাহ মঞ্জুর হুদাসহ পাঁচ জন নিহত হন। এতে আহত হন জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি আবু জাহিরসহ প্রায় ৫০ জন। হত্যাকাণ্ডের পর ১৯ বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও এই মামলার বিচার শেষ হয়নি। শাহ এম এস কিবরিয়া ১৯৯২ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হন। ১৯৯৪ সালে তাকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা করা হয়। শাহ এএমএস কিবরিয়া ১৯৯৬-২০০১ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে গেলেও হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন তিনি। প্রসঙ্গত, আহসান উল্লাহ মাস্টার ও শাহ এএমএস কিবরিয়ার হত্যাকাণ্ড বিএনপি-জামায়াত আমলে হওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বক্তব্যে বারবার তাদের নামই উঠে এসেছে। এমনকি এই দুই হত্যাকাণ্ডে বিএনপির লোকজন জড়িত বলেও বিভিন্ন সময় দাবি করে আসছেন দলটির নেতাকর্মীরা। আবার বিএনপির দাবি, এই হত্যাকাণ্ড দুটি ঘটেছে নিজেদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে। মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যা: ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় গাইবান্ধা জেলার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা (মাস্টারপাড়া) গ্রামে নিজ বাড়িতে খুন হন গাইবান্ধা-১ (সুন্দরগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগ দলীয় এমপি মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন। দুটি মোটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। সেই হত্যাকাণ্ডের দুই বছর ১১ মাসের মাথায় (২০১৯) জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি আব্দুল কাদের খানসহ সাত আসামির সবার ফাঁসির রায় দেন আদালত। এমপি আনার হত্যা ও ‘আসন শূন্য’ ঘোষণা নিয়ে জটিলতা ৮ দিন নিখোঁজ থাকার পর গত ২২ মে এমপি আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করার কথা সামনে আসে। তবে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত দুই সপ্তাহেও তার ‘লাশের’ সন্ধান পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ ও হত্যার রহস্য উন্মোচনে তদন্ত চলমান। আনোয়ারুল আজীম আনারের মৃত্যুর বিষয়টি আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত না হওয়ায় জটিলতা তৈরি হয়েছে। যে কারণে ঝিনাইদহ-৪ আসন শূন্য ঘোষণা করতে পারছে না জাতীয় সংসদ সচিবালয়। যদিও হত্যাকাণ্ডের খবর প্রকাশের দিনই (২২ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে শোক প্রকাশ করেছেন। কিন্তু কোনও কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত না করলে জাতীয় সংসদ আনারের আসন শূন্য ঘোষণা করতে পারছে না। এ বিষয়ে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, শাহ এ এম এস কিবরিয়া ও মঞ্জুরুল ইসলাম লিটন হত্যার বিষয়টি দৃশ্যমান ছিল। তাদের মৃতদেহ পাওয়া গেছে এবং জানাজা হয়েছে। সেই হিসেবে তাদের আসন শূন্য ঘোষণা করা হয়েছিল। এখান সমস্যা হলো আনোয়ারুল আজীম আনারের দেহ পাওয়া যায়নি। কোনও একটা নির্ভরযো‌গ্য সূত্র থেকে আমাদের জানতে হবে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম বা গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের ওপর নির্ভর করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না। বঙ্গবন্ধুর আমলে হত্যার শিকার যারা স্বাধীনতার পর ১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে আওয়ামী লীগের ৭ জন এমপি খুন হয়েছেন। এর মধ্যে ১৯৭২ সালে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন খুলনার ভাষাসৈনিক আবদুল গফুর। ১৯৭৩ সালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন শরীয়তপুরের নড়িয়া আসনে এমপি নির্বাচিত হন নুরুল হক হাওলাদার। একই বছর খুন হন ঝালকাঠির আবদুল মুকিম। ১৯৭৪ সালে ভোলার মোতাহার উদ্দিন আহমেদ মাস্টার, নরসিংদীর গাজী ফজলুর রহমান, কুষ্টিয়ার গোলাম কিবরিয়া এবং ১৯৭৫ সালে নেত্রকোনার আবদুল খালেককে হত্যা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রথম হত্যার শিকার হন খুলনার ভাষাসৈনিক আবদুল গফুর। তিনি ১৯৭০ সালের নির্বাচনে খুলনার পাইকগাছা ও আশাশুনি আসনে আওয়ামী লীগ থেকে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। ১৯৭২ সালের ৬ জুন উন্নয়নকাজ পরিদর্শন করে ফেরার পথে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৭৩ সালের ৭ মার্চ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম নির্বাচনে শরীয়তপুরের নড়িয়া আসনে এমপি নির্বাচিত হন নুরুল হক হাওলাদার। ১৯৭৩ সালের ৩০ মে রাতে নিজ বাড়িতে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই সংসদে ঝালকাঠি ও নলছিটি থেকে নির্বাচিত হন আবদুল মুকিম। ওই বছরই (১৯৭৩) তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ১৯৭৩ সালে ঝালকাঠি থেকে এমপি নির্বাচিত হন আবদুল মুকিম। ১৯৭৩ সালে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সিরাজ শিকদারের সর্বহারা গ্রুপ তাকে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে তৎকালীন বাকেরগঞ্জ-৩ আসনে (বর্তমানে ভোলা-৩) সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন মোতাহার উদ্দিন আহমেদ মাস্টার। ১৯৭৪ সালের ১০ জানুয়ারি তাকে আম গাছের সঙ্গে বেঁধে গুলি করে হত্যা করা হয়। একই সংসদে নরসিংদীর মনোহরদী (ঢাকা ২২) এলাকা থেকে নির্বাচিত এমপি ছিলেন গাজী ফজলুর রহমান। ১৯৭৪ সালের ১৬ মার্চ তাকে একটি স্কুলে গুলি করে হত্যা করা হয়। কুষ্টিয়ার খোকসা-কুমারখালী থেকে ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এমপি হন গোলাম কিবরিয়া। ১৯৭৪ সালের ২৫ ডিসেম্বর কুমারখালী থানার সামনে কোরবানির ঈদের জামাতে নামাজ শুরুর আগমুহূর্তে তাকে ব্রাশ ফায়ার করে হত্যা করা হয়। ১৯৭০ ও ১৯৭৩ সালের দুই সংসদেই নেত্রকোনা-১ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আবদুল খালেক। ১৯৭৫ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে বাসায় ফেরার পথে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ যা বলছেন: স্বাধীন বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের ১১ জন সংসদ সদস্য খুন হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, ‘এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে প্রশ্ন করলে তিনি ভালো বলতে পারবেন— আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না।’ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর সময়ে এমপি খুন হওয়ার প্রেক্ষাপট এক রকম ছিল। পরবর্তী সময়ে আহসানুল্লাহ মাস্টার ও শাহ এমএএস কিবরিয়া হত্যার প্রেক্ষাপটও ভিন্ন। এখন আনোয়ারুল আজীম আনারের বিষয়টির সঙ্গে সেগুলো মেলানোর সুযোগ নেই। আনারের মৃত্যু রহস্য এখনও উদ্ঘাটিত হয়নি। তার লাশ কিংবা মৃত্যু নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলেও তা নিশ্চিত নয়।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ.ফ.ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, ‘১৯৭২ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত সংসদ সদস্যদের হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট এক ধরনের। আর ২০০১ সালের পরে সংসদ সদস্যদের হত্যার প্রেক্ষাপট আরেক ধরনের। তবে দুই সময়ের হত্যাকাণ্ডের একটি জায়গায় যোগসূত্র আছে। তা হলো— জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করা এবং উন্নয়নে বাধা দেওয়ার জন্য দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যড়যন্ত্রকারীদের মদদে, আর বিএনপি-জামায়াতের সময় আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করতে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় হত্যাকাণ্ড। আর এমপি লিটন হত্যার বিষয়টি একেবারেই ভিন্ন ব্যাপার। এখন আনোয়ারুল আজীম আনারের ভারতে খুন হওয়া নিয়ে গণমাধ্যমে নানান ধরনের খবর দেখছি। তবে সুনির্দিষ্ট করে কিছুই এখনও জানা যায়নি। আমরা যেকোনও খুনের বিরোধিতা করি, খুনিদের বিচার চাই।’

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
সোনারগাঁ থেকে অপহৃত কিশোরী উদ্ধার কুষ্টিয়ায় বৈষম্যবিরোধ ছাত্র আন্দোলনের পদবঞ্চিতদের সাথে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ, আহত-৮জন চাঞ্চল্যকর সেই শিশু ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, বোনের স্বামী-শ্বশুরসহ গ্রেফতার ৪ বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-মেঘালয় করিডোর চান সাংমা সীমান্তে ফের বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করল বিএসএফ ঈদের পর আসছে জিম্বাবুয়ে, সূচি প্রকাশ সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় হিজবুত তাহরীরের ৩৬ সদস্য গ্রেফতার বাড়িতে বসে রোজা রাখা সহজ, খেলতে নেমে নয়! নাটক সিনেমায় নারীদের গুরুত্ব কতটুকু? রাশিয়ার বৃহত্তম তেল শোধনাগারে ইউক্রেনের পাল্টা ড্রোন হামলা ভারতের বিপক্ষে ইচ্ছে করেই খারাপ খেলেন ম্যাক্সওয়েল, দাবি সাংবাদিকের ইসরাইলি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আল-আকসায় জুমআ আদায় লাখো ফিলিস্তিনির আ.লীগ নেতার গ্রেফতার নিয়ে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ, বোমা বিস্ফোরণ আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি প্রত্যাশিতভাবে ক্ষমতায় আসবে: এএফপি সুইটির কোলজুড়ে একসঙ্গে এলো চার সন্তান শিগগিরই রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ, সৌদি যাচ্ছেন জেলেনস্কি ইসরাইলি রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আল-আকসায় জুমআ আদায় লাখো ফিলিস্তিনির ঢাকা মেডিকেল থেকে হিজবুত তাহরীর চার সদস্য আটক সাংবাদিক ও মানবাধিকার সুরক্ষা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ চাঁদা দাবির অভিযোগে গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদ নেতার সদস্য পদ স্থগিত