ই-জিপির কার্যকারিতা – দৈনিক গণঅধিকার

ই-জিপির কার্যকারিতা

ডেস্ক নিউজ
আপডেটঃ ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ৯:৩৭
কয়েক বছর আগে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেছিলেন, ই-জিপির ফলে ক্ষেত্রবিশেষে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়লেও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও কাজের মানোন্নয়নে এর কোনো প্রভাবই পড়েনি। ই-জিপির ব্যবস্থাপনা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির ঘাটতির কথাও তিনি তখন উলে­খ করেছিলেন। এক্ষেত্রে এখনো বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে না। সোমবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে ‘সরকারি ক্রয়ে সুশাসন : বাংলাদেশে ই-জিপির কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়। এ প্রতিবেদনে টিআইবি বলেছে, রাজনীতিবিদ, সরকারি কর্মকর্তা ও ঠিকাদারদের মধ্যে ব্যাপক যোগসাজশ হচ্ছে। ফলে বাংলাদেশে ই-গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) এখনো প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করতে পারছে না। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শীর্ষ ৫ শতাংশ ঠিকাদার ৩০ শতাংশ ই-কনট্রাক্ট নিয়ন্ত্রণ করে এবং বাজারে তাদের আধিপত্য বাড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেবল একজন ঠিকাদার অংশ নিয়েছিলেন, এমন দরপত্রের মাধ্যমে গত ১১ বছরে ৬০ হাজার ৬৯ কোটি টাকার কার্যাদেশ দেওয়া হয়েছিল। বস্তুত এ ধরনের চর্চায় দুর্নীতির ঝুঁকি বাড়ে। ই-জিপি সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া একটি ইতিবাচক উদ্যোগ, যা অর্থ ও সময় সাশ্রয় করেছে। এ উদ্যোগ বাস্তবায়নের ফলে কেন প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করা যায়নি, তা খতিয়ে দেখা দরকার। ইজিপির আওতার বাইরে থাকা উচ্চ চুক্তিমূল্যের সব দরপত্র দ্রুততার সঙ্গে ই-টেন্ডারিং প্রক্রিয়ায় আনা; সরকারি ক্রয় প্রতিযোগিতার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিতে উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতি এবং সীমিত দরপত্র পদ্ধতিতে আরোপিত মূল্যসীমা প্রত্যাহার করা-এসব বিষয়ে গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে টিআইবির সুপারিশে। সীমিত দরপত্র পদ্ধতি অনুসরণের বর্তমান ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ঢেলে সাজিয়ে সরকারি ক্রয় আইন ২০০৬-এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করার আহ্বান জানিয়েছে টিআইবি। বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিতে এবং সম্ভাব্য যোগসাজশ বন্ধে একক দরপত্রপ্রবণ ক্রয় অফিসগুলোকে নজরদারিতে আনার আহ্বানও জানিয়েছে টিআইবি। ই-জিপিকে যোগসাজশমুক্ত ও প্রতিযোগিতামূলক করার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিবেচনার জন্য টিআইবি যেসব সুপারিশ করেছে তা বিবেচনায় নেওয়া দরকার। বস্তুত ই-জিপিকে রাজনৈতিক প্রভাব, যোগসাজশ ও সিন্ডিকেটের দুষ্টচক্র থেকে মুক্ত করা কেন জরুরি তা বহুল আলোচিত। আমরা মনে করি, এ বিষয়ে স্বচ্ছতার স্বার্থে টিআইবির সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া উচিত। সব পর্যায়ের জনপ্রতিনিধি এবং জনগুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে অধিষ্ঠিত ব্যক্তিরা যদি স্বতঃস্ফূর্তভাবে সহযোগিতা না করেন, তাহলে এক্ষেত্রে কাক্সিক্ষত লক্ষ্য অর্জনে অনিশ্চয়তা তৈরি হতে পারে।

দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ট্যাগ:

সংশ্লিষ্ট সংবাদ:


শীর্ষ সংবাদ:
‘পবিত্র’ কাফনের রক্ত-রহস্য ভোরে নীলা মার্কেটে হাঁসের মাংস খেতে যান আসিফ মাহমুদ, বন্ধ থাকলে যান ওয়েস্টিনে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন আজ রাজশাহীতে ৪ লাঁশ উদ্ধার চারঘাটে ১২৪ বোতল ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক রাজশাহীতে খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে দোয়া মাহফিল অস্ত্র বের করলেই গুলি: সিএমপি কমিশনার দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নারীসহ নিহত ৩ কুষ্টিয়ায় খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসের নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার বৃদ্ধ শ্বশুরকে পুত্রবধু ও তার স্বজনদের নির্যাতন দৌলতপুরে মাদকবিরোধী অভিযানে সোর্স গুলিবিদ্ধ গলাচিপায় গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে রেইনকোর্ট বিতরণ রাজনীতিতে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব, তরুণরা কেন বেশি বিশ্বাস করে সাত মাসে ২৫৯ শিশু খুন নির্যাতনও বাড়ছে স্ত্রীর চরিত্র নিয়ে মন্তব্য করায় অলিকে হত্যার পর লাশ ৮ টুকরো করেন সাদেক: র‌্যাব রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী অপহরণের মূলহোতা গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার নির্বাচন যদি বিলম্বিত হয় তাহলে ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হবে: জয়ন্ত কুমার কুন্ডু গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার ৪ অসুস্থ স্ত্রীকে কবর দেওয়ার চেষ্টা স্বামীর, ভিডিও ভাইরাল ঢাবির হলে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ ঘোষণা