দাম্পত্য কথন

এস এম জামালঃ
সামাজিক একটি বন্ধন হচ্ছে বিয়ে। বিয়ের মাধ্যমে একটি বৈধ চুক্তিতে নারী-পুরুষ দুজন দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপন করে, কখনও পারিবারিক সম্মতিতে, আবার কখনওবা নিজেদের পছন্দে। তবে দেশ, কাল, পাত্র, ধর্ম ও বর্ণভেদে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা অনেকটাই ভিন্ন হয়ে থাকে।
বিয়ে মানব জীবনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ, যার মাধ্যমে নারী-পুরুষ একত্রে বৈধভাবে মিলিত হয়, রচনা করে স্বপ্নের সুখী নীড় এবং গড়ে তোলে পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন। আবার এই সামাজিক বন্ধন বিয়ে টা যেমন সামাজিক মর্যাদায় পারিবারিক দাম্পত্য জীবন শুরু করে তেমন করে বিয়ে বা বিবাহ বিচ্ছেদ ও হয়ে থাকে নিমিশেই। কেননা বিয়ে হচ্ছে একটি শক্তিশালী ও পবিত্র বন্ধন।
একটি বিয়ে শুরু হয় উদযাপন ও ভালবাসায়। এই বন্ধন ছিন্ন করার সিদ্ধান্ত অনেক কঠিন হলেও জীবন চলার পথে বিভিন্ন কারণে অনেককে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
যুগের পরিবর্তন কালের বিবর্তনে পরিবার ও সমাজের নানান অসঙ্গতির কারনে বিচ্ছেদ হতে পারে। যদি স্বার্থপর বা অসমান যৌথ জীবনের সমস্যা উঠে এবং এটি সমাধান করা সম্ভব না থাকে, তাহলে একটি দাম্পত্য জীবনের মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যেতে পারে।
এমনকি স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অসম্মান আচরণ বা আধুনিক সম্পর্কের দৃষ্টিভঙ্গি যদি অবধারিত থাকে তাহলে সেই আচরণের বা সম্পর্কের ভিত্তিতে আধুনিক সম্পর্ক সংরক্ষণ করা সম্ভব না হলে বিবাহ বিচ্ছেদ হতে পারে। সবচেয়ে বড় কারন হতে পারে অর্থনৈতিক সমস্যা।
কেননা সংসার জীবনে আর্থিক বিপদ হলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক দূরত্ব তৈরি করতে পারে, এতে করে বিবাহ বিচ্ছেদটা এক ধাপ বেড়ে যায়। যদি একটি পরিবার সামাজিক মূল্যবোধের স্থান থেকে চিন্তাকরা হয় তাহলে, একটা পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি নিয়ে বা কোন মামলা বা আইনি জটিলতার কোন বিতর্কের অবস্থা থাকে সে ক্ষেত্রেও পারিবারিক কলরহ হতে পারে এবংকি সেটা বিবাহ বিচ্ছেদ পর্যন্ত ও যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে এর থেকে বেরিয়ে আসতে হলে অবশ্যই নমনীয়তা সঞ্চালিত করতে হবে একজনকে। মেনে নিতে হবে অথবা মানিয়ে নিতে হবে।
(লেখক- সাংবাদিক ও সমাজকর্মী)
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।