
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি

নির্বাচন ইস্যুতে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব কি তিক্ততার দিকে যাচ্ছে?

ভিপি নুরকে নিয়ে ডিএনসিসির অভিযোগ সত্য নয়: গণঅধিকার পরিষদ

‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ পদত্যাগে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিরতা বাড়বে: আমির খসরু

‘দিল্লীর গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়’

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ, রয়েছে যেসব সংগঠন
সেপ্টেম্বরে মাঠ দখলে রাখবে আওয়ামী লীগ

সেপ্টেম্বর ঘিরে বড় শোডাউনের মাধ্যমে রাজধানীর মাঠ দখলে রাখবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কোনোভাবেই রাজধানী ঢাকার মাঠের নিয়ন্ত্রণ হাতছাড়া হোক কিংবা বিএনপি কর্মসূচির মাধ্যমে মাঠে অবস্থান করুক- তা চায় না আওয়ামী লীগ। তাই বিএনপির কর্মসূচির পাল্টা কর্মসূচি নয়, একের পর এক কর্মসূচির মাধ্যমে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রেখে রাজনীতির মাঠ পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রেখেই আগামী নির্বাচনে জয় নিশ্চিত করতে চায় দলটি।
এজন্য সেপ্টেম্বর মাসের শুরু থেকে উন্নয়ন প্রকল্প অর্থাৎ মেগা প্রজেক্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে লক্ষাধিক মানুষের কয়েকটি শোডাউন বা মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোর সঙ্গে বর্ধিত সভা করে মহাসমাবেশ সফল করার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ডকে সমাবেশে এক থেকে দেড় হাজার মানুষ নিয়ে আসার টার্গেট দেওয়া হয়েছে। আর ঢাকার বড় বড় সব শোডাউনে ঢাকা জেলা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগের ছাত্র মহাসবাবেশ, ২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা-ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে নিজেদের শক্তি জানান দেবে দলটি। দুই সমাবেশেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন উপলক্ষেও বড় শোডাউন করা হবে।
১ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব স্মরণে তারুণ্যের সমাবেশ। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘স্মরণকালের সর্ববৃহৎ’ ছাত্রসমাবেশ করতে চায় ছাত্রলীগ। ছাত্রসমাবেশ সফল করতে ৭ নির্দেশনা দিয়েছে ছাত্রলীগ।
এতে সারা দেশে ছাত্রলীগের সব ইউনিটের নেতাকর্মীসহ ছাত্র, তরুণ ও যুবকদের উপস্থিত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। দেশের সবচেয়ে বড় শিক্ষার্থী সমাবেশের আয়োজন করছে সংগঠনটি। অন্তত পাঁচ লাখ নেতাকর্মী সারা দেশ থেকে এসে এই সমাবেশে যোগ দেবেন এমন চেষ্টা ও প্রত্যাশা রয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। ছাত্রসমাবেশে উপস্থিত ইউনিটগুলোর মধ্য থেকে সেরা ইউনিটকে সাংগঠনিকভাবে পুরস্কৃত এবং কোনো ইউনিট উপযুক্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হলে সাংগঠনিক জবাবদিহির ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে।
আর ২ সেপ্টেম্বর পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে মহাসমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। এদিন ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের এয়ারপোর্ট থেকে ফার্মগেট অংশ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘২ সেপ্টেম্বর রাজধানীবাসী দেখবে মহাসমুদ্র, জনতার মহাসমুদ্র। সেই মহাসমুদ্র দেখার অপেক্ষায় আছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ইস্পাতের মতো শক্তি নিয়ে সাম্প্রদায়িকতা, জঙ্গি মোকাবিলা ও প্রতিরোধ করতে প্রস্তুত।’
মহাসমাবেশে প্রতিটি জেলার জন্য আলাদা রঙের ক্যাপ বা গেঞ্জি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরের সব ওয়ার্ড ও থানা থেকে কয়েক লাখ নেতাকর্মী জনসভায় উপস্থিতির প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আগামী ২ সেপ্টেম্বর লক্ষাধিক মানুষের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এদিন মহাসমাবেশের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াতের শিকড় উপরে ফেলা হবে। তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। আগামী নির্বাচন পর্যন্ত চার মাস মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। সে বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, প্রতিটি ওয়ার্ডকে এক থেকে দেড় হাজার নেতাকর্মী মহাসমাবেশগুলোতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। ঢাকা দক্ষিণ আওয়ামী লীগের আসন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটির পদপ্রার্থীদের এ নিয়ে মূল্যায়ন করা হবে, কে কত নেতাকর্মী নিয়ে কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন।
এদিকে, বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলায় প্রত্যেকটি কর্মসূচিতেই পাল্টা কর্মসূচি রেখে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে থেকে সহযোগিতা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে নেতাকর্মীদের। এছাড়া পাল্টা কর্মসূচির বাইরেই দলীয় কর্মসূচির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষক লীগ, মহিলা লীগ, যুব মহিলা লীগ, ছাত্রলীগ আলাদা আলাদা কর্মসূচি দিয়ে মাঠে থাকবে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।