
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

হিজাব-নিকাব পরা ছাত্রীদের জন্য নতুন সিদ্ধান্ত ঢাবির

শিক্ষকদের সুখবর দিয়ে গেলেন বিদায়ী শিক্ষা উপদেষ্টা

‘কারাগারে মশার কামড়ে ঘুম হচ্ছে না, খুব কষ্টে আছি’

সরকারি প্রাথমিকে ৬৫৩১ শিক্ষক নিয়োগপত্র পাচ্ছেন আজ, যোগদান ১২ মার্চ

প্রাথমিকের তৃতীয় ধাপে নির্বাচিত ৬৫৩১ শিক্ষককে যোগদানের ঘোষণা

প্রাথমিকের নিয়োগবঞ্চিত শিক্ষকদের প্রতীকী ফাঁসি!

চবির ১০ ছাত্রী বহিষ্কার, প্রক্টরের সঙ্গে নেতার কথোপকথনের স্ক্রিনশট ফাঁস
অধ্যক্ষের অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

গাজীপুরের সালনায় নাসির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে এবং বহিরাগতদের হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এ সময় তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করেছে। তাদের হামলায় পুলিশের এক এসআই আহত হয়েছেন।
আন্দোলনরতরা ওই শিক্ষককে কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। এতে ওই মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পাঁচ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে থানায় নিয়ে যায়। মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) মহানগরীর সদর থানাধীন সালনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও আন্দোলনরতরা জানায়, অর্থ আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের অভিযোগে গত কয়েকদিন ধরে গাজীপুর মহানগরীর সালনাস্থিত নাসির উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিনের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে আসছে। মঙ্গলবার সকালেও শিক্ষার্থীরা ওই দাবিতে ক্যাম্পাসে আন্দোলন শুরু করে। ওই সময় শিক্ষকের কিছু সমর্থক বহিরাগত ক্যাম্পাসে প্রবেশ করে আন্দোলনরতদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে।
হামলায় হাসিবুল হাসান, আঁখি আক্তার, লাবনি ও আদনান সহ আন্দোলনরত কয়েক শিক্ষার্থী আহত হয়। এ ঘটনায় আন্দোলনরতরা আরও বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। তারা ওই শিক্ষককে বহিষ্কার এবং ঘটনার জন্য দায়ীদের শাস্তির দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। এসময় তারা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষকে একটি কক্ষে অবরুদ্ধ করে রাখে। এদিকে সন্তানদের উপর বহিরাগত সন্ত্রাসীদের হামলার খবর পেয়ে তাদের অভিভাবকরাও ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আন্দোলনে যোগ দেয়।
জিএমপি’র সদর থানার ওসি মো. জিয়াউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যবহৃত একটি গাড়ির কাঁচ ভাঙচুর করে। তাদের হামলায় এসআই উৎপল কুমার আহত হন।
আন্দোলনরতরা জানান, মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠানের সাবেক সভাপতি (এডহক কমিটি) ফজলু মোক্তারের নেতৃত্বে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিনের সমর্থিতরা আন্দোলনরতদের উপর হামলা চালিয়ে অন্তত ৬/৭ জনকে রক্তাক্ত করেছে। প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিন প্রায়ই শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। তিনি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের জন্য গাইড বই (লেকচার গাইড) সিলেকশন করে তিন লাখ টাকা নিয়েছেন যা এখনও স্কুল ফান্ডে জমা হয়নিনাই।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিগত কমিটির কাছ থেকে নানা অনৈতিক সুযোগ-সুবিধা নিয়েছেন এবং অবৈধভাবে কলেজের বেতন দ্বিগুণ-তিনগুণ বাড়িয়েছেন। এছাড়া ৭০ হাজার টাকার পুরোনো কাগজ বিক্রি করে তিনি ওই টাকা তছরূপ করেছেন। তার এসব অনিয়ম, দুর্নীতি ও নির্যাতনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে।
এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নাজমা নাসরিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। সম্প্রতি নির্বাচনের মাধ্যমে কলেজ কমিটি গঠন করা হয়েছে। তা বোর্ডে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এ অবস্থায় নির্বাচনে পরাজিত পক্ষের লোকজন ওই কমিটি নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তারই ধারাবাহিকতায় তারা কলেজের শিক্ষার্থীদের উস্কে দিচ্ছে এবং মহাসড়কে নামিয়ে দিয়েছে।
অপরদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবেক কমিটির এক সদস্য জানান, আন্দোলনের পেছনে কয়েক শিক্ষকও জড়িত রয়েছেন। অধ্যক্ষকে সরিয়ে কলেজের জ্যেষ্ঠ এক শিক্ষককে অধ্যক্ষের আসনে বসানোর পাঁয়তারা করছেন তারা। এ কাজে শিক্ষার্থীদেরও উস্কে দিচ্ছেন তারা।
গাজীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এডহক কমিটির সভাপতি সৈয়দ মোরাদ আলী জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে কমিটি গঠন নিয়ে আগে থেকেই দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। শিক্ষকদের মধ্য থেকে একজনের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে বলেও আমার কাছে তথ্য রয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে একটি পক্ষ শিক্ষার্থীদের উষ্কে দিয়ে থাকতে পারে।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।