
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি

নির্বাচন ইস্যুতে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব কি তিক্ততার দিকে যাচ্ছে?

ভিপি নুরকে নিয়ে ডিএনসিসির অভিযোগ সত্য নয়: গণঅধিকার পরিষদ

‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ পদত্যাগে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিরতা বাড়বে: আমির খসরু

‘দিল্লীর গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়’

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ, রয়েছে যেসব সংগঠন
সমমনাদের সঙ্গে বিএনপির বৈঠক অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে শরিকদের ক্ষোভ

সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবিতে শিগগিরই নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করবে বিএনপি। এ ব্যাপারে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর মতামত নেওয়া হচ্ছে। বুধবার রাতে গণতন্ত্র মঞ্চ, ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে বিএনপি। এসব বৈঠকে ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশপথে অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে শরিকদের কেউ কেউ প্রশ্ন তোলেন। সবার সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই কর্মসূচি দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেন, হঠাৎ অবস্থানের মতো শক্ত কর্মসূচিতে যাওয়া ঠিক হয়নি। ভবিষ্যতে একদফার ভিত্তিতে কর্মসূচি প্রণয়নে বিএনপিকে আরও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন শরিকরা। আপাতত সমাবেশ ও পদযাত্রার মতো কর্মসূচি দিয়ে চূড়ান্ত আন্দোলনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা।
২৮ জুলাই ঢাকায় মহাসমাবেশ করার পরদিনই রাজধানীর প্রবেশমুখগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় বিএনপি ও সমমনা দলগুলো। কর্মসূচিকে কেন্দ করে ঢাকার কয়েকটি জায়গায় সংঘর্ষ হয়। তবে মহাসমাবেশে বড় জমায়েতের পরদিন অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ সেভাবে ছিল না। সমন্বয়হীনতার কারণেই এমনটা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এরপর একদফা দাবিতে কোনো কর্মসূচি ঘোষণা করেনি বিএনপি। গুলশান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সমমনা দলের একাধিক নেতা আশঙ্কা করছেন, আন্দোলন দমাতে হামলা-মামলা ও দমন-পীড়নের মাত্রা আরও বাড়তে পারে। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় হঠাৎ করে কর্মসূচি পরিবর্তন করতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে পরিকল্পনায় একাধিক কর্মসূচি রাখা উচিত। যাতে পরিস্থিতি অনুযায়ী কর্মসূচিতে পরিবর্তন আনা যায়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা অবস্থান কর্মসূচি প্রণয়ন এবং তাতে নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কম হওয়ার সমালোচনা করেন। বৈঠকে তাদের বক্তব্য ছিল, সফল মহাসমাবেশের পর কেন সাংঘর্ষিক কর্মসূচি দেওয়া হলো? কর্মসূচি দেওয়াই যখন হলো তখন নেতাকর্মীদের উপস্থিতি কম ছিল কেন? বিএনপির পক্ষ থেকে এসব প্রশ্নের স্পষ্ট কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকেও ২৯ জুলাইয়ের অবস্থান কর্মসূচিতে নেতাকর্মী কম হওয়ার নেপথ্যের কারণ অনুসন্ধানের কথা বলা হয়। মহাসমাবেশের মাধ্যমে আন্দোলন যে গতি পেয়েছিল তা এখন অনেকটা কমে গেছে বলে তারা মনে করেন।
বৈঠকে একদফার আন্দোলন সফলে ছাত্র ও শ্রমিকদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর গুরুত্ব দেন গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা। ভবিষ্যৎ কর্মসূচির ব্যাপারে গণতন্ত্র মঞ্চের কাছে একটি লিখিত প্রস্তাব চেয়েছে বিএনপি। জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠকে নতুন কর্মসূচি হিসাবে ঢাকায় সমাবেশ, অবরোধ ও ঘেরাওয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তবে ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
জানতে চাইলে ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান রিজু বলেন, একটি সফল মহাসমাবেশের পর সরকারকে আলটিমেটাম দিয়ে তার পরিপ্রেক্ষিতে কর্মসূচি দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল গণতন্ত্র মঞ্চ। কিন্তু বিএনপি হঠাৎ ঢাকায় অবস্থানের মতো কঠোর কর্মসূচিতে চলে গেল। কেন এমন কর্মসূচি দেওয়া হলো তা জানতে চেয়েছে গণতন্ত্র মঞ্চ। নতুন কর্মসূচি প্রসঙ্গে ১২ দলীয় জোটের প্রধান জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, একদফা আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচির বিষয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। আমরা কিছু পরামর্শ দিয়েছি।
সমমনা দলগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল দলের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের মধ্যে মাহমুদুর রহমান মান্না, জোনায়েদ সাকি, সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।