নিউজ ডেক্স                            
                        আরও খবর
                                বৃদ্ধ শ্বশুরকে পুত্রবধু ও তার স্বজনদের নির্যাতন
                                রাজশাহীতে স্কুলছাত্রী অপহরণের মূলহোতা গ্রেফতার, ভিকটিম উদ্ধার
                                গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যায় গ্রেপ্তার ৪
                                অসুস্থ স্ত্রীকে কবর দেওয়ার চেষ্টা স্বামীর, ভিডিও ভাইরাল
                                ব্যাগের ভেতর ছিল অজ্ঞাত ব্যক্তির খণ্ডিত মরদেহ
                                মৌলভীবাজারে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা
                                নাটোরে প্রাইভেটকার থামিয়ে চালককে গলা কেটে হত্যা
বিমানে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট নেননি আদালত
                             
                                               
                    
                         বিমানের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁসের ঘটনায় বাংলাদেশ বিমানের ২৬ কর্মচারীসহ ৩০ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলার চার্জশিট গ্রহণ করেননি আদালত। একই সঙ্গে মামলাটির অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
সোমবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এএম জুলফিকার হায়াতের আদালতে মামলার চার্জশিট গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। এদিন বিচারক চার্জশিট গ্রহণ না করে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলাটি অধিকতর তদন্তের নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১২ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে কোন সংস্থা অধিকতর তদন্তের দায়িত্বে থাকবে, সেটি এখনো জানা যায়নি।
২২ জুন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক মো. আলমগীর হোসেন পাটোয়ারী বাংলাদেশ বিমানের ডিজিএম মেজর তাইজ ইবনে আনোয়ারসহ বিমানের ২৬ কর্মকর্তা-কর্মচারী, চার চাকরিপ্রত্যাশীসহ ৩০ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর ১৮ জুলাই ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুরুল হুদা চৌধুরী এ চার্জশিট পর্যালোচনা সাপেক্ষে মামলাটি ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন।
চার্জশিটভুক্ত উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন এমটি অপারেটর জাহাঙ্গীর আলম, মো. মাসুদ, মো. মাহবুব আলী, এমএলএসএস মো. জাহিদ হাসান, অফিস সহায়ক আওলাদ হোসেন, এমটি অপারেটর এনামুল হক, এমএলএসএস হারুন অর রশিদ, এমটি অপারেটর মাহফুজুল আলম, এমএলএসএস সমাজু ওরফে সোবাহান, এমএলএসএস জাকির হোসেন ও হেলপার জাবেদ হোসেন। এমডির কক্ষ থেকে ২০২২ সালের ২১ অক্টোবর বেলা ৩টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১০০ চালকসহ বেশ কয়েকটি পদে নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। তবে এ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। পরে পরীক্ষা শুরুর এক ঘণ্টা আগে তা স্থগিত করা হয়। পরীক্ষা স্থগিতের ঘোষণা দেওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন চাকরিপ্রার্থীরা। কিছুক্ষণ পর প্রার্থীরা কেন্দ্র থেকে চলে যান।
তখন বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে ২১ অক্টোবরের অনুষ্ঠিতব্য ১০ পদের পরীক্ষা সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
পদগুলো হলো জুনিয়র টেইলর কাম আপহোলস্টার, প্রি-প্রেস অ্যাসিস্ট্যান্ট, জুনিয়র এমটি মেকানিক, জুনিয়র এয়ারকন মেকানিক, জুনিয়র ওয়েল্ডার জিএসই, জুনিয়র পেইন্টার জিএসই, জুনিয়র মেকানিক (টায়ার) জিএসই, জুনিয়র মেকানিক জিএই (ক্যাজুয়াল), জুনিয়র ইলেকট্রিশিয়ান জিএসই (ক্যাজুয়াল) ও জুনিয়র অপারেটর জিএসই (ক্যাজুয়াল)।
প্রশ্নফাঁসের এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় ২০২২ সালের ২৬ অক্টোবর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়।  
                    
                    
                                                            
                    
                                    


দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।