
নিউজ ডেক্স
আরও খবর

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই বাজেট দিয়েছে সরকার: বিএনপি

নির্বাচন ইস্যুতে সরকার ও বিএনপির দূরত্ব কি তিক্ততার দিকে যাচ্ছে?

ভিপি নুরকে নিয়ে ডিএনসিসির অভিযোগ সত্য নয়: গণঅধিকার পরিষদ

‘বিতর্কিত উপদেষ্টাদের’ পদত্যাগে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি ইশরাকের

নির্বাচন বিলম্বিত হলে অস্থিরতা বাড়বে: আমির খসরু

‘দিল্লীর গোলামির জিঞ্জির ছিন্ন করেছি পিন্ডির দাসত্ব করতে নয়’

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে নতুন জোটের আত্মপ্রকাশ, রয়েছে যেসব সংগঠন
ওবায়দুল কাদের ভাবেন, তিনি ছাড়া অন্য কেউ কিছু বোঝে না : গয়েশ্বর

আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘কথা বলতে বলতে তিনি (ওবায়দুল কাদের) এমন পর্যায়ে গেছেন, সুস্থ নাকি অসুস্থ বোঝা যাচ্ছে না। চালাক মানুষ মনে করেন নিজেকে, তিনি ছাড়া অন্য কেউ কিছু বোঝে না; ওবায়দুল কাদেরও তা-ই ভাবেন।’
সোমবার (৩ জুন) রাজধানীর নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি। মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য ইশরাক হোসেনের মুক্তির দাবিতে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ সরকারকে পুলিশ ক্ষমতায় রেখেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ‘এখন খবরের কাগজ খুললে বেনজীর ও ভারতে খুন হওয়া সংসদ সদস্য আনারের খবর।’
এমপি আনারের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘সেই সঙ্গে বলবো, স্বর্ণপাচারের সঙ্গে তিনি যদি জড়িত হন, তাহলে সেই বিচারটাও জনসম্মুখে হওয়া উচিত। ভারতের কারা এই অবৈধ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সেটাও বের করা উচিত।’
বিএনপির মূল লক্ষ্য এই সরকারকে সরানো উল্লেখ করে গয়েশ্বর চন্দ্র বলেন, ‘একবার আওয়ামী লীগ ভারতে পালিয়েছিল, আবারও পালাবে। দেশের মানুষ কিছু না বললেও পালাবে। কথায় আছে, বনের বাঘে না খেলেও মনের বাঘে খায়।’
‘দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক আন্দোলন চলবে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৬ বছর ধরে কষ্ট করছেন, হয়তো আপনাদের আর কিছু দিন কষ্ট করতে হবে। এই আন্দোলন সফল হওয়া মানে গণতন্ত্র ফেরত পাওয়া, বাংলাদেশকে ফিরে পাওয়া। তাই ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।’
আইনি জটিলতায় ভারতে অবস্থানরত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদকে শিলংয়ে উদ্ধার প্রসঙ্গে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আপনারা জানেন ২০১৫ সালে আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদকে উত্তরা থেকে র্যাব গ্রেফতার করেছিল। তখন র্যাবের মহাপরিচালক ছিলেন বেনজীর আহমেদ। সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করা হলো ঢাকার উত্তরা থেকে, আবিষ্কার করা হলো ভারতের শিলংয়ে। এই যে দেশ থেকে একটা মানুষকে বের করে দেওয়া…।’
কবি ফরহাদ মজহারকে উদ্ধার করা প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘কবি ফরহাদ মজহার একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাকে ঢাকা থেকে তুলে নেওয়া হলো। যারা নিলেন তাদের চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ খুলনা থেকে ফিরিয়ে আনলেন। অর্থাৎ ফরহাদ মজহারকে আরেকটি দেশে নেওয়ার চেষ্টা ছিল। মুক্তির পর ফরহাদ মজহার কথা বলেন না, বোবা হয়ে গেলেন। কেন, কারণ কি? তবে সব কথা বলা যায় না, বোঝা তো যায়?’
‘বেনজীরের বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনও মামলা হয়নি। দুদক তাকে কার্যালয়ে হাজির হওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে’, বলেন গয়েশ্বর।
বেনজীরের দেশত্যাগের খবর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইমিগ্রেশনে যারা আছেন তারা অন্ধ নাকি বোবা, নাকি পড়াশোনা জানে না। সব পত্রপত্রিকায় তো বেনজীরের খবর প্রকাশিত হয়েছে।’
দৈনিক গণঅধিকার সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।