আত্মবিশ্বাসের আর এক নাম কুষ্টিয়ার তন্নী খাতুন

৩০ মার্চ, ২০২৩ | ৭:৫৯ অপরাহ্ণ
দেওয়ান মনতাজ , দৈনিক গণঅধিকার

কুষ্টিয়ার অতিপরিচিত এক মুখের নাম তন্নী খাতুন। তন্নীর বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলা চাঁদপুর ইউনিয়নে। তন্নী পেশায় চাঁদপুর ইউনিয়ন পরিষদের একজন উদ্যাক্তা।তার পড়াশোনা শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজ অনার্স ফাইনাল ইয়ার( সমাজবিজ্ঞান )। তন্নীর পরিবারে রয়েছে বাবা, মা,বোন, ভাগ্নে(৪ টা)।তন্নীর বাবার নাম মো: ওমর আলী মিয়া এবং তার মায়ের নাম শিউলী খাতুন। তন্নীর সমাজকল্যাণমূলক কাজের মধ্যে রয়েছে: ওয়ান ওয়ে স্কুল -এর সাথে সেন্টাল প্রোমোশন ম্যানেজার হিসেবে যুক্ত আছি, যে প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে "অদক্ষ জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করা"। তিনি যুক্ত আছেন রিহ্যাবিলিটেশন অফ হিউম্যানিটি ফাউন্ডেশন মেম্বার এর মুল লক্ষ্য অসহায়, ববঞ্চিত,, সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষ দের পাশে থাকা। তিনি একাধারে বিভিডি- কুষ্এটিয়া জেলার সাথে যুক্ত আছেন, যারা সমাজের বিভিন্ন কাজে মানুষ এর পাশে থাকে। তন্নী বলেন স্বেচ্ছায় রক্তদান নিয়ে কাজ করতে আমার ভীষণ ভালো লাগে তাই যত গুলো রক্তের সংগঠন আছে প্রত্যেক সংগঠন গুলোর সাথে কাজ করে যাচ্ছি দীর্ঘদিন ধরে এবং এর পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন গুলোর সাথে নিরালশ কাজ করে আচ্ছি। হতাশা নামক এই সমস্যা টা আমাদের লক্ষ্য থেকে পিছিয়ে দেয়। নিজেকে নতুন দিগন্তে সফলতা আনতে হবে এটা আমাদের ভুলিয়ে দেয় এই হতাশা নামক কন্টকশয্যা। তন্নী বলেন সামাজিক সংগঠন গুলো করতে যেয়ে অনেক কিছু শিখেছি। আবার এমন টিম পেয়েছি যারা নিজের পরিবারের মতো, কাজের প্রাপ্তি হিসেবে সকল সদস্যদের দোয়া ও ভালোবাসা যা ছিলো আমার জন্য অতুলনীয়। সামাজিক সংগঠন গুলোর সাথে কাজ করতে গিয়ে পেয়েছি নতুন এক পরিবার, যেখানে শাসন,ভালোবাসা সকল কিছু বিদ্যমান। আমার ২৪ বছরের পথ চলায় অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছে নিজেকে। আমার চাকরির পাশাপাশি সামাজিক সংগঠন গুলোর সাথে সময় দিতে আমার ভিষণ ভালো লাগে।আমি আমার ভালোবাসার জায়গা থেকে কাজ করি। অনেকেই বলে এত কাজ করার পরেও কিভাবে কাজ করো আমি বলি যে কাজ ভালোবাসা দিয়ে করা যায় তাতে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় না। আলহামদুলিল্লাহ যেখানে চাকরি করি সু নামের সাথে ৫ টা বছর কাটিয়ে দিলাম। তন্নীকে অনুপ্রেরণা দিয়েছে যারা: শাহরিয়ার ইমন ভাইয় সহ অনেক ব্যাক্তি আছে তাদের ঋণ কখনো শোধ দিতে পারবো না।আমার খারাপ সময়ে তারাই আমার পাশে ছিলো। মো: মোক্তার হোসেন ভাইয়ার অনুপ্রেরণা পেয়ে আমি এগিয়ে যাচ্ছি হাজার বাধা আসলেও কিছু মনে হয় না। আরো একজন মোটিভেশনাল একজন ব্যক্তি মো: চপল আশিকুর ভাই যে মানুষটির কাজ দেখে আমি ভিষণ অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। আমাকে আজ অবধি যে মানুষ গুলো সাপোর্ট দিয়েছে তাদের ঋন কখনো শোধ দিতে পারবো না। তন্নী বলেন, এইসকল মানুষ গুলোর প্রতি আমার দোয়া রইল সব সময়। আমার বন্ধু বান্ধবী শুভাকাঙ্ক্ষী সবাই আমার পাশে আছে বলে আজ অবধি আমি অনেক বাধাঁর পরেও নিজেকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আমার প্রিয় ছোট বোন ফারিয়া, ছোট ভাই সাফায়েত এদের পাগলামী অনেক সময় আমাকে খুশি রাখে নতুন করে বাচঁতে সহায়তা প্রদান করে। সবার অনুপ্রেরণা এবং দোয়ায় একদিন ভালো কিছু করতে পারি।যুদ্ধের ময়দানে নামার পর যুদ্ধে জিতে যাওয়ার কৌশল নিজেরই। তন্নী বলেন,রূপের বিচার নয় গুনের বিচার করতে শিখুন তবেই সফলতার সিড়িঁ চোখে প্রতিফলিত হবে।