আবারো বাড়তে শুরু করেছে

গৃহবধূর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে কুষ্টিয়ায় ফিল্মীস্টাইলে ডাকাতি

৩১ মে, ২০২৩ | ৭:৪৩ অপরাহ্ণ
মিনহাজুল ইসলাম , দৈনিক গণঅধিকার

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার ডাকাতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (৩০ মে) দিনগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বরইচারা গ্রামের আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার ( ৩১ মে) সকালে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, টিনশেডের আধাপাকা বাড়িটি ইটের প্রাচীর দিয়ে ঘেরা। বাড়ির পেছনের প্রবেশপথের দরজা ভাঙা। বাড়ির বারান্দার গ্রিলের তালা ও একটি কক্ষের দরজার ছিটকিনি ভাঙা। দুইটি কক্ষের মালামাল অগোছালো অবস্থায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। ডাকাতির খবর শুনে উৎসুক লোকজন সেখানে ভিড় করছেন। আর আনোয়ার হোসেন ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করায় পরিবারের সঙ্গে থাকেন না। তখন রাত আনুমানিক ৩টা বাজে। তিনি সন্তানদের সঙ্গে ঘুমাচ্ছিলেন। এসময় ডাকাতরা তার গলায় থাকা সোনার চেন ধরে টান দিলে ঘুম ভেঙে যায়। তিনি দেখেন তার কক্ষে ছয়জন লোক। তাদের মধ্যে চারজনের মুখ বাঁধা, তিনজনের হাতে পিস্তল এবং আর অন্যদের হাতে লোহার শাবল ও চাকু‌ ডাকাতরা তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে চুপচাপ থাকতে বলেন। তিনি তাদের কথামতো ভয়ে সন্তানদের নিয়ে অস্ত্রের মুখে চুপচাপ ছিলেন। তার ভাষ্য, ডাকাতরা তার বাড়িতে প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ডাকাতি করেন। তারা একটি সোনার চেন, একটি আংটি, এক জোড়া দুল, দুইটি মোবাইলফোন ও নগদ সাত হাজার টাকা নিয়ে গেছেন বলে জানান বাড়ির মালিক আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী শিউলি খাতুন। একের পর এক অস্ত্র ধরে ডাকাতি হচ্ছে। এতে মানুষ জানমাল নিয়ে খুব আতঙ্কিত। প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছি বলে জানান চৌরঙ্গী বাজারের ওষুধ বিক্রেতা আব্দুল গণি। দীর্ঘদিন পরে তার ইউনিয়নসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। সবগুলো ডাকাতি একই স্টাইলে হচ্ছে। তার ভাষ্য, কোনো একটি চক্র সংঘবদ্ধভাবে এ অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এতে মানুষের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানান কুষ্টিয়ার কুমারখালী যদুবয়রা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান কুষ্টিয়ার কুমারখালী থানার ডিউটি অফিসার এসআই বিলকিস খাতুন।