বকশীগঞ্জ থানার ওসির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন নাদিম হত্যা মামলায়

জামালপুরের বকশীগঞ্জে সাংবাদিক গোলাম রাব্বানী নাদিম হত্যা মামলার সব আসামি গ্রেফতার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নিহতের সহকর্মীরা। এ ঘটনায় বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল রানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তাকেও মামলায় সম্পৃক্ত করার দাবি জানিয়েছেন তারা। সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে জামালপুর প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক নাদিম স্মরণে শোকসভা ও দোয়া মাহফিলে এ দাবি করেন সাংবাদিক নেতারা। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক জামালপুর প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান বলেন, ‘রাজাকার পরিবারের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করায় গত ১১ এপ্রিল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহীনা বেগমের ইন্ধনে তার সন্ত্রাসী বাহিনী সাংবাদিক নাদিমের ওপর হামলা করেছিল। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ এবং ভিডিওবার্তায় নিরাপত্তাহীনতার কথা বললেও ওসি সোহেল রানা সেসময় কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। গত ১৪ জুন ফের তিনি বাবু চেয়ারম্যানের সন্ত্রাসী হামলার শিকার হলে ঘটনাটি “চোখে সামান্য আঘাত লেগেছে” বলে ওসি মন্তব্য করেন এবং নাদিম নিহত হওয়ার পরও ওসির ভূমিকা রহস্যজনক।’ এ ঘটনায় ওসির ভূমিকা ‘রহস্যজনক’ দাবি করে তাকেই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা করায় সাংবাদিক নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তদন্ত কর্মকর্তা থেকে ওসিকে প্রত্যাহারসহ তাকেও হত্যা মামলায় আসামি করার দাবি জানান তারা। এসময় রাষ্ট্রকে নিহত সাংবাদিকের পরিবারের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণ, সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি করেন বক্তারা। শোকসভায় সাংবাদিক নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বলেন, আমি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। আমি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত করতে চাই। আমার স্বামী হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই, যাতে ভবিষ্যতে আর কোনো সাংবাদিককে এভাবে প্রাণ দিতে না হয়। এ ঘটনায় বাবু চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। পরে তার পাঁচদিনসহ গ্রেফতার অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।