অবশেষে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন আ.লীগ নেতা

রাজশাহী মহানগরীর সাগরপাড়া এলাকায় জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আবুল হোসেনের বাসায় মোটা অংকের টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে আটক হওয়া আওয়ামী লীগ নেতাকে শেষ পর্যন্ত মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ওই আওয়ামী লীগ নেতার নাম মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমন। তিনি মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। সোমবার (১৯ জুন) সকালে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মীর ইকবালের জিম্মায় তুলে দেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের ভাই ও সাংগঠনিক সম্পাদক মীর ইশতিয়াক আহমেদ লিমনের মামা আব্দুল হামিদ টেকন আসন্ন সিটি নির্বাচনে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী। সাবেক মেয়র লিটনের কর্মী-সমর্থকদের দাবি, লিমনের মামা টেকনকে কাউন্সিলর পদে জয়ী করতেই মোটা অংকের টাকা নিয়ে নির্বাচন কমিশনারের বাসায় প্রবেশ করেন লিমন। বিষয়টি এলাকাবাসী দেখে ফেলে। পরে এলাকাবাসী লিমনকে ওই বাসায় আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। রাত সোয়া ১২টার দিকে পুলিশ তাকে আটক করে। লিমনের বড় ভাই মীর ইমতিয়াজ বলেন, ‘গত নির্বাচনে মেয়রের ভোট করে দিয়েছে আমার ছোট ভাই। আজ তারা আমাদের মারছে। আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর ইকবাল বর্তমানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। আমার বাবা ঘটনাস্থলে গেলে তারা আমার বাবাকেও মারধর করেছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. রফিকুল আলম দৈনিক গণঅধিকার নিউজ কে বলেন, ‘একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লিমনকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছিল। তবে ওই নির্বাচন কর্মকর্তার বাসায় কোনো টাকা-পয়সা পাওয়া যায়নি। পরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মুচলেকা নিয়ে ওই আওয়ামী লীগ নেতাকে তার বাবার জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’