সাবেক কাস্টমস কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা বাদ যায়নি স্ত্রী-কন্যাও

২১ জুন, ২০২৩ | ৭:৫২ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

অবসরপ্রাপ্ত কাস্টমস কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া হাজারীর বিরুদ্ধে দুইটি পৃথক মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কাস্টমস কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া চট্টগ্রামের বসবাসরত। আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দেওয়ার অভিযোগে এসব মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার অভিযোগে গোলাম কিবরিয়া হাজারীর স্ত্রী ও কন্যাকেও এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ জুন) দুদকের চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলা দুইটি দায়ের করা হয়। সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২ এর সহকারী পরিচালক মো. আবদুল মালেক এসব মামলা করেন। এ মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা হলেন, ফেনী জেলার সদর থানার মাস্টারপাড়া গ্রামের মৃত দেলোয়ার হোসেন হাজারীর ছেলে চট্টগ্রাম কাস্টমস ট্রেনিং একাডেমির সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া হাজারী (৬৮)। এসব মামলায় তার স্ত্রী সেলিনা আকতার (৪৮) ও মেয়ে সাদিয়া আক্তার ফারহাকেও (২৮) আসামি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকায় বসবাস করেন। দুদক সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া হাজারীর বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধান শুরু করা হয়। ২০১৮ সালের ২৮ আগস্ট স্ত্রী-কন্যাসহ গোলাম কিবরিয়ার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী জারি করে দুদক। একই বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর তারা সম্পদ বিবরণী জমা দেন। পরে দুদক অনুসন্ধানে নিশ্চিত হয় গোলাম কিবরিয়া দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩ কোটি ৫০ লাখ ৯১ হাজার ৬৬৩ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। পাশাপাশি তিনি ৩ কোটি ৪০ লাখ ৬৫ হাজার ৬৫৯ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করেছেন। তিনি নিজের অবৈধ আয় থেকে মেয়ে সাদিয়া আক্তার ফারহার নামে সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করেছেন। সর্বশেষ তদন্তকারী কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৫ জুন কমিশন মামলার অনুমোদন দেয়। মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের হয়। সেলিনা আকতার দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ২ কোটি ৩৯ লাখ ৫ হাজার ৮৩৫ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করেছেন। তিনি ৪ কোটি ৯৯ লাখ ৫ হাজার ১৮৫ টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূতভাবে অর্জন করেছেন। পাশাপাশি স্বামী গোলাম কিবরিয়া অবৈধ আয় থেকে স্ত্রীর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ অর্জনে সহযোগিতা করেছেন বলে নিশ্চিত হন দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা। পরে কমিশনের অনুমোদন নিয়ে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাটি দায়ের করা হয়।