ঢাবিতে ডেকে এনে বন কর্মকর্তাকে মারধরের পর মৃত্যু, অভিযোগ প্রেমিকার স্বামীর বিরুদ্ধে

১৪ আগস্ট, ২০২৩ | ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে মারধরে এক বন কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তাঁর নাম বসন্ত কুমার দাস (৫২)। তিনি রাজধানীর মহাখালীতে বন ভবনে হিসাব বিভাগে কর্মরত ছিলেন। রোববার সকাল ৯টার দিকে অচেতন অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মৃত ব্যক্তির ছোট ভাই হেমন্ত কুমার দাস অভিযোগ করেন, বসন্তের সঙ্গে দূরসম্পর্কের ফুপাতো বোন মিনার দাসের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। গত শনিবার রাত সারে ১০টায় মিনার দাস ফোনে তাঁর ভাইকে কলাভবনে ডেকে নেয়। এ সময় মিনা দাসের স্বামী শান্তি মণ্ডল সেখানে উপস্থিত হন। তারপর শান্তি মণ্ডল বসন্তকে মারধর করে। এতে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। একপর্যায়ে থানা-পুলিশ এসে পারিবারিক বিষয় বলে সমঝোতা করে দেয়। হেমন্ত কুমার দাস বলেন, মালিবাগের গুলবাগের বাসায় ফিরে রাতেই তাঁর ভাই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তখন দ্রুত তাঁকে খিদমা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে সকালে তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে মারা যান তিনি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ (এএসআই) মো. মাসুদ মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খন্দকার সেলিম শাহরিয়ার জীবন বলেন, ‘মারধরে এক ব্যক্তি মারা গেছে এমন একটা অভিযোগ আমরা পেয়েছি। জানা গেছে, গতকাল রাতে তিনিসহ কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় ছিলেন। জটলা দেখে পুলিশ সদস্যরা এগিয়ে যায়। সেখানে এক ব্যক্তিকে ঘিরে ধরেছিলেন সবাই। কথা বলে জানতে পারেন, ওই ব্যক্তি বসন্ত কুমার দাস। শান্তি মণ্ডলের সঙ্গে তিনি রিকশায় ছিলেন। হঠাৎ রিকশা থেকে লাফিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। তখন ধাওয়া করে তাঁকে ধরে ফেলেন শান্তি মণ্ডল।’ বসন্ত কুমারের গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার পাড়াটঙ্গিতে। বর্তমানে শাহজাহানপুর গুলবাগ এলাকায় স্ত্রী সুমি দাস ও দুই ছেলেকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন।