রোহিঙ্গা গণহত্যার ছয় বছর: বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর

২৫ আগস্ট, ২০২৩ | ১১:১১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতে নির্যাতন ও গণহত্যার শিকার রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপনের পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, তারা গণহত্যায় ভুক্তভোগী ও বেঁচে যাওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মানুষের পাশে রয়েছেন। ২৫ আগস্ট গণহত্যার ৬ বছর পূর্তিতে বৃহস্পতিবার দেওয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা জানান ব্লিঙ্কেন। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ওই বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ব্লিঙ্কেন বলেন, প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য আমরা বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের প্রতি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি এ অঞ্চলের অন্যান্য দেশ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিচ্ছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ২৫ আগস্ট, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার ৬ বছর পূর্ণ হয়েছে। এতে হত্যার শিকার ও বেঁচে যাওয়াদের পাশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছে, সেটির সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার ব্যাপারে ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন ব্লিঙ্কেন। মিয়ানমারের সব মানুষের জন্য ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলেও জানান তিনি। এছাড়া রোহিঙ্গা ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক সাহায্যের কথাও উল্লেখ করেন ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, গণহত্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যে ২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমার, বাংলাদেশ ও এই অঞ্চলের অন্যান্য দেশগুলোকে ২ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যা এককভাবে কোনো দেশ হিসাবে সর্বোচ্চ সহযোগিতা। বিবৃতিতে তিনি আরও বলেন, ২০১৭ সালের ডিসেম্বর থেকে যুক্তরাষ্ট্র চলমান সহিংসতার জন্য যারা সবচেয়ে বেশি দায়ী, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা ও ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। মিয়ানমারের জনগণের গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও শান্তিপূর্ণ ভবিষ্যতের আকাক্সক্ষায় তাদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা, ধর্ষণ, বর্বরোচিত নির্যাতন চালানো শুরু করে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। তখন আশ্রয়ের আশায় ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমানা পেরিয়ে বাংলাদেশে আসে। মানবিক দিক বিবেচনা করে তাদের আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ সরকার।