আওয়ামী লীগের কথা ও কাজে মিল নেই : মঈন খান

২৬ আগস্ট, ২০২৩ | ৫:০৩ পূর্বাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

জাতিসংঘের প্রতিনিধির সঙ্গে বৈঠকে ভালো নির্বাচনের যে প্রত্যাশার কথা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের দিয়েছেন, তাতে ভরসা পাচ্ছেন না বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। শুক্রবার তিনি বলেছেন, “কথা ও কাজে যদি মিল না থাকে, সেই কথার কোনো দাম নেই। আওয়ামী লীগ সরকার ব্যর্থ হয়েছে এই কথা প্রমাণ করতে যে তাদের কথা ও কাজে মিল আছে।” আগের দিন জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইসের সঙ্গে বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “নির্বাচনে বিএনপির মত বড় দল আসুক, সেটাই চাই। কারণ নির্বাচনটা যত প্রতিযোগিতামূলক হবে, তত দেশে-বিদেশে গ্রহণযোগ্য হবে। “আমরা আমাদের সেই ইচ্ছেটা বলেছি যে, আমরা একটা প্রতিদ্ব›িদ্বতামূলক নির্বাচন করতে চাই। যেটা দেশে-বিদেশে প্রশংসিত হবে। এটা আমাদের দলের পক্ষ থেকে বলেছি।” কিন্তু বিএনপি নেতা মঈন খানের ভাষ্য, আওয়ামী লীগের কথা ও কাজে ‘মিল নেই’। এর ‘প্রমাণ’ হিসেবে তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনেছেন। “আপনারা দেখেছেন, ২০১৮ সালে আমরা বিরোধী দল ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই সরকারের সাথে আলোচনায় বসেছিলাম। সেখানে কি বলা হয়েছিল? সেখানে বলা হয়েছিল যে, ‘আপনারা নির্বাচনে আসুন, আমরা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখিয়ে দেব। “আমরা সেই কথা বিশ্বাস করেছিলাম, নির্বাচনে এসেছিলাম। পরবর্তীতে আপনারা দেখেছেন, অনরেকর্ড সেই নির্বাচনী প্রচার যেদিন শুরু হয়, প্রথম দিন থেকে আমার উপরে, আমার মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছে, মহাসচিবের মিছিলে আক্রমণ করা হয়েছিল, সারা বাংলাদেশে আমাদের ওপরে আক্রমণ করা হয়েছিল। সেই আক্রমণ নির্বাচনের আগের দিন পর্যন্ত চলেছিল।” মঈন খান বলেন, “এটা অনরেকর্ড আমরা ইলেকশন কমিশনের লিখিত বক্তব্য দিয়েছি, সেগুলো আপনারা দেখেছেন। কাজেই পরবর্তীতে আপনারা দেখেছেন যে, নির্বাচন এমন একটি হয়েছে যেখানে বাংলাদেশের কোনো মানুষ ভোট দেয় নাই। “সেখানে দিনের ভোট রাতে হয়েছে, ভোট দিয়েছে চারটি কম্পিউটারের বাটন। আমি ব্যাখ্যা করে দিচ্ছি, একটি বাটন হচ্ছে ডিসি, একটি বাটন হচ্ছে এসপি, একটি বাটন হচ্ছে টিএনও এবং চতুর্থ বাটনটি হচ্ছে উপজেলার ওসি। ঢাকা থেকে নির্বাচনের ফলাফলের শিট নির্বাচনী তিনশ এলাকায় বের হয়ে এসেছে, সেটাই হয়েছে সেই নির্বাচনে।” ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে এই বিএনপি নেতা বলেন, “তাদের কথা এবং কাজে মিল থাকুক, তারা গণতন্ত্রকে শ্রদ্ধা করুক, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় যে নির্বাচন, সেই নির্বাচনের মাধ্যমেই কেবল ক্ষমতা হস্তান্তর হতে পারে, সেই প্রক্রিয়ায় তারা ফিরে আসুকৃ নিশ্চয় এ দেশের মঙ্গল হবে।” জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এদিন সংগঠনের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও সাধারণ সম্পাদক সাদেক আহমেদ খানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানান। দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন এ সময়ে উপস্থিত ছিলেন।