কানের লাল গালিচায় হাঁটতে কী লাগে, জানালেন প্রিয়তী

গেলো ১৪ মে পর্দা উঠেছে চলচ্চিত্রের বিখ্যাত আয়োজন কান উৎসবের। বরাবরের মতো ফ্রান্সের সমুদ্র তীরবর্তী শহর কানে বসেছে এই আসর। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিল্পী-কুশলীদের পদচারণায় ৭৭তম আয়োজনটি এরই মধ্যে জমে উঠেছে। কানে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য কোনও অংশগ্রহণ কিংবা প্রাপ্তি নেই। তবু গত কয়েক বছর ধরে কান সৈকতে ঢাকার সংবাদকর্মী ও শিল্পীদের আনাগোনা দেখা যাচ্ছে। যেমন এবার নিজ উদ্যোগে সেখানে গেছেন অভিনেত্রী আশনা হাবিব ভাবনা। এছাড়া বিদেশি এক ছবির সহ-প্রযোজক হিসেবে হাজির হয়েছেন নির্মাতা-প্রযোজক আদনান আল রাজীব। তবে এক বাংলাদেশি অনেক বছর ধরে নিয়মিত কান উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। তিনি মাকসুদা আক্তার প্রিয়তী। স্থায়ীভাবে বসবাস করেন আয়ারল্যান্ডে। সেখানকার সিনেমা ও মডেলিং জগতে কাজ করেন তিনি। সেই সুবাদেই কানে ছুটে যান প্রতি বছর। এবারও কানের ঝলমলে আসরে হাজির প্রিয়তী। তবে এবারের সফর একটু বিশেষ। কেননা তিনি এখন অন্তঃসত্ত্বা। বেবিবাম্প নিয়েই হেঁটেছেন কানের মর্যাদাপূর্ণ লাল গালিচায়। এর ফাঁকে কথা বলেছেন গণমাধ্যমের সঙ্গে। তিনিও উৎসবস্থলে রয়েছেন। এই সফরটি নিয়ে প্রিয়তীর অনুভূতি এরকম, ‘আমি খুব এক্সাইটেড ছিলাম, কারণ আমার অনাগত সন্তানকে নিয়ে রেড কার্পেটে হাঁটবো। এজন্য সচেতন থেকেছি, নিজেকে ফিট রেখেছি। ফিট থেকেই কানে অংশ নিতে চেয়েছিলাম। সেই সঙ্গে চেয়েছি, কান থেকেই আমার মাতৃত্বের খবরটি যেন সবাই জানে। সেটাই হলো, এজন্য বেশ আনন্দিত।’ প্রিয়তী জানান, নিজের সিনেমা নিয়ে লাল গালিচায় হাঁটার যে অনুভূতি, এখনও তা অনুভব করতে পারেননি। তাই মনের ভেতর অপূর্ণতা রয়ে গেছে এখনও। তবু তিনি যেভাবে হাঁটছেন, বাংলাদেশের অন্য কেউ যদি এরকম হাঁটতে চান, তাদের উদ্দেশে কী পরামর্শ তার? জবাবে প্রিয়তী বললেন, ‘লাল গালিচায় হাঁটার জন্যই কানে আসতে চান নাকি উৎসবটির অভিজ্ঞতা নিতে, আগে সেটা ভাবতে হবে। কারণ কান উৎসবের যে বিশালতা, সেটা বুঝতে বুঝতেই দুই-তিনবার এখানে আসতে হবে। আর এখানে আসার অভিজ্ঞতা অসাধারণ। কারণ পুরো বিশ্বের সিনেমা অঙ্গনের মানুষেরা একত্রিত হন। কেউ যদি শুধু লাল গালিচায় হাঁটার জন্যই আসতে চান, তাহলে কিছু বলতে পারবো না। তবে কানের অভিজ্ঞতা নেওয়ার জন্য আমি সবাইকে আহ্বান জানাই।’ নিজের অভিজ্ঞতার ঝুলি থেকে প্রিয়তী বললেন, ‘আমি যখন প্রথম কানে এসেছিলাম, তখনই কিন্তু রেড কার্পেটে হাঁটিনি। এসেছিলাম উৎসবটির বিভিন্ন দিক বোঝার জন্য, শেখার জন্য। আমি চলচ্চিত্রপ্রেমী, আয়ারল্যান্ডের সিনেমা ও বিভিন্ন উৎসবের সঙ্গে যুক্ত। তো সিনেমার প্রতি আমার ভালোবাসা আছে। সেই জায়গা থেকেই এখানে আসি এবং আস্তে আস্তে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করি। এরপর যখন আমার একটা পরিচিতি আসে, তখনই আমি লাল গালিচায় হাঁটা শুরু করেছি।’