আতালান্তা থামিয়ে দিলো অপরাজেয় লেভারকুসেনকে

হারতে ভুলেই গিয়েছিল লেভারকুসেন। ৩৬১ দিনে এমন অবস্থা দাঁড়ায় যে, ৫১ ম্যাচে অপরাজিত থাকায় নামও হয়ে যায় নেভারলুজেন! ট্রেবল জয়ের স্বপ্ন দেখা সেই দলটা হার দেখলো গতকাল। ইউরোপা লিগ ফাইনালে আতালান্তার কাছে ৩-০ গোলে হেরে হাতছাড়া করেছে শিরোপাও। লেভারকুসেনকে হারিয়ে আতালান্তা ইতিহাস গড়েছে। ৬১ বছর পর পেয়েছে কোনও শিরোপার দেখা। তবে ইউরোপিয়ান মহাদেশীয় শিরোপা জিতেছে এবারই প্রথম। আতালান্তার ঐতিহাসিক জয়ের নায়ক নাইজেরিয়ার আডেমোলা লুকম্যান। ১২, ২৬ ও ৭৫ মিনিটে তিনটি গোল করে হ্যাটট্রিক করেছেন তিনি। অবশ্য জার্মান বুন্দেসলিগা জয়ের সময় লেভারকুসেন শেষ দিকে প্রত্যাবর্তনের দারুণ সব গল্প লিখে সেটা অভ্যাসে পরিণত করে ফেলেছিল। এবার সেটার পুনরাবৃত্তি করতে পারেনি তারা। ফলে লেভারকুসেনের অপরাজেয় যাত্রা থামলো ৫১ ম্যাচে। যাদের সর্বশেষ পরায়জটি ছিল ২০২৩ সালের মে মাসে। অবিশ্বাস্য জয়যাত্রায় ছেদ পড়ায় লেভারকুসেন কোচ জাভি আলোনসো অবশ্য বিষয়টাকে খুব বড় করে দেখছেন না। তার মতে, ‘যদি মানসিকতার হিসেবে দেখেন, তাহলে এটা হেরে যাওয়া নয়। ফুটবলে এমনটা হতেই পারে। আজকের দিনটা আমাদের ছিল না। তারা আমাদের চেয়েও ভালো ছিল।’ আতালান্তার প্রথম শিরোপা হলেও লেভারকুসেন তাদের দ্বিতীয় ইউরোপিয়ান ট্রফির খোঁজে ছিল। তাও আবার সেটা ১৯৮৮ সালের উয়েফা কাপের পর। তাছাড়া প্রথম ইউরোপিয়ান দল হিসেবে অপরাজিত থেকে ট্রেবল জয়ের ইতিহাস গড়ারও দ্বারপ্রান্তে ছিল তারা। সেই লক্ষ্য পূরণ না হওয়ায় আলোনসোকে সেটা যন্ত্রণা দিচ্ছে। তবে, ‘এটা যন্ত্রণাদায়ক। তবে আমরা যা করেছি সেটা ছিল ব্যতিক্রমী। ফাইনালে এই ধরনের হার কখনও কেউ ভোলে না। আমাদের বড় সুযোগ ছিল। কিন্তু যেভাবে চেয়েছি, সেটা করতে পারিনি।’ এখন এই হারের যন্ত্রণার কীভাবে মুখোমুখি হতে হয় সেটাকে চ্যালেঞ্জ মানছেন লেভারকুসেন কোচ।