মোর্শেদার কীর্তিতে অবিশ্বাস্য রেকর্ড!

নারীদের ক্রিকেট লিগে রেকর্ড বুক তছনছ করে দিয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। বৃহস্পতিবার গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের বিপক্ষে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন দলটির ব্যাটাররা। মোর্শেদা খাতুন ও সোবহানা মোস্তারির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মোহামেডান ৩৯২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে। নারীদের লিগে এখন পর্যন্ত এটাই সর্বোচ্চ সংগ্রহ। এদিন দলীয় সর্বোচ্চ রান তুলেই রেকর্ড বুক ওলট পালট করে মোহামেডান। শুধু তাই নয়, দলটির ওপেনার মোর্শেদা ১৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে নারীদের ক্রিকেট লিগের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস খেলে রেকর্ডবুকেও নিজের নাম তুলেছেন। বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে গুলশানের বিপক্ষে অবিশ্বাস্য এক রেকর্ডের জন্ম দিয়েছে মোহামেডান। নারীদের ক্রিকেটে এতদিন বিকেএসপির করা ৩২১ রান ছিল সর্বোচ্চ সংগ্রহ। বৃহস্পতিবার সেটাকেও ছাড়িয়ে গেছে তারা।২০২২-২৩ ক্রিকেট মৌসুমে কেরাণীগঞ্জ ক্রিকেট একাডেমির বিপক্ষে এই রান করেছিল বিকেএসপি। সেই রেকর্ড টপকাতে আজ গুলশান ইয়ুথ ক্লাবের বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে কাশ্মীরি কন্যা জাসিয়া আক্তারের ঝড়ো হাফ সেঞ্চুরির পর মোর্শেদা খাতুন ও সোবহানা মোস্তারির জোড়া সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ৩৯২ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় মোহামেডান। বৃহস্পতিবার ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে মোর্শেদা খাতুন ও জাসিয়া আক্তার মিলে উদ্বোধনী জুটিতে গড়েন ১৩৫ রান। ঝড়ো ব্যাটিং করে বিদেশি ক্রিকেটার জাসিয়া ৭৫ রানে ফারিয়ার শিকার হয়েছেন। ৪১ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় নিজের ইনিংসটি সাজান কাশ্মীরের এই ব্যাটার। দ্বিতীয় উইকেটে মোর্শেদা ও সোবহানা মিলে গড়েন ২৫৭ রানের জুটি। ইনিংস শেষ হওয়ার দুই বল আগে সোবহানা লম্বা শট খেলতে গিয়ে ফারিহা আক্তারের বলে আউট হয়েছেন। পরের বলে ফারিয়া তুলে নেন আয়েশার উইকেট। ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৯২ রান সংগ্রহ করে মোহামেডান। এদিকে ওপেনিংয়ে নেমে মোর্শেদা অপরাজিত ছিলেন ১৫৭ বলে ১৭৯* রানে। পুরো ইনিংসে ২টি ছক্কার সঙ্গে ২৩টি চার মেরেছেন তিনি। যা নারী লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। গুলশানের হয়ে ফারিয়া একাই নেন তিনটি উইকেট। ৯ ওভারে ৬৬ রান খরচ করে ফারিহার শিকার তিনটি উইকেট। ৩৯৩ রানের কঠিন লক্ষ্যে খেলতে গিয়ে সমান তালে লড়তে পারেনি গুলশান। ইসলাম তৃষ্ণা, রুমানা আহমেদ ও সালমা খাতুনদের বোলিংয়ে দলটি ৪৯.৪ ওভারে ১৪১ রানে থেমেছে। ফলে ২৫১ রানের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান। নারীদের প্রিমিয়ার লিগে বৃহস্পতিবার আরও দুটি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে সিটি ক্লাবের সাথে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন রূপালী ব্যাংক ১০ উইকেটের বড় ব্যবধানে জিতেছে। রূপালী ব্যাংকের বিদেশি ক্রিকেটার মুক্তা রবীন্দ্র মাগরের বোলিংয়ে সিটি ক্লাব ১১৬ রানে অলআউট হয়েছে। সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১৬.৩ ওভারে কোন উইকেট না হারিয়ে লক্ষ্য ছুঁয়েছে রূপালী ব্যাংক। ইসমা তানজিম ৬৭ ও ফারজানা হক পিংকি খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। বিকেএসপির আরেকটি মাঠে স্বাগতিক বিকেএসপি ও খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির মুখোমুখি লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছে বিকেএসপি। আগে ব্যাটিং করে বিকেএসপি ৮ উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান করেছে। জবাবে খেলাঘর নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে তুলতে পারে ২২৬ রান। তাতে ১৪ রানের জয় নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফেরে স্বাগতিকরা।