রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম ইয়াতিমখানায় দুদকের হানা

এতিমখানার অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম ইয়াতিমখানায় অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অপরদিকে কুমিল্লা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরে দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে অভিযান চালায় সংস্থাটি। এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখতে চারটি সরকারি দফতরে দুদক থেকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৯ মে) এসব অভিযান চালানো হয়। বুধবার দুদকের উপ-পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আকতারুল ইসলাম গণঅধিকারকে জানান, রাজধানীর স্যার সলিমুল্লাহ মুসলিম এতিমখানার তত্ত্বাবধায়কের বিরুদ্ধে এতিমখানা মার্কেটের দোকানঘর ভাড়া বাবদ পাওয়া অর্থ ও নির্মাণাধীন ভবনের মালামাল অবৈধভাবে বিক্রয়ের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পায় দুদক। যাচাই-বাছাই শেষে দুদক প্রধান কার্যালয়ের এনফোর্সমেন্ট শাখা থেকে বুধবার (২৯ মে) একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের সময় ওই এতিমখানা পরিদর্শন করা হয় এবং অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তত্ত্বাবধায়ক ও অন্যান্যদের বক্তব্য নেওয়া হয়। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা শেষে তত্ত্বাবধায়ক পদে নিয়োগ ও বেতন প্রদান সংক্রান্তে অনিয়ম, তত্ত্বাবধায়কের বাসা মেরামতের নামে ভুয়া ও অতিরিক্ত অর্থ খরচ দেখিয়ে আত্মসাতসহ অন্যান্য অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অপরদিকে, কুমিল্লা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের সঙ্গে যোগসাজশ করে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগে কুমিল্লা সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১০০টি গভীর নলকূপ এবং ১০০টি আয়রন রিমুভাল প্ল্যান্ট স্থাপনের অধিকাংশ কাজ না করেই বিল উত্তোলনের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। দুটি অভিযানে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত ও রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।