ইনশাল্লাহ আমরা জয়ী হবো: মির্জা ফখরুল

৩০ মে, ২০২৪ | ১১:৪৪ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এখন পুরোপুরি দুর্বৃত্তদের কবলে, বাংলাদেশ এখন লুটেরা মাফিয়াদের কবলে। একদিকে তারা (সরকার) রাজনৈতিক অধিকার হরণ করছে, অন্যদিকে তারা অর্থনীতিকে ধ্বংস করছে। তাদের মূল্য লক্ষ্য হচ্ছে, এটাকে পরনির্ভরশীল একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করা। আমরা এর বিরুদ্ধে লড়াই করছি। ইনশাল্লাহ আমরা জয়ী হবো।’ বৃহস্পতিবার (৩০ মে) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন তিনি। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ আমাদের মহান নেতা স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছি। আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র সম্পূর্ণভাবে নির্বাসিত। একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কলাকৌশল করে জনগণের ভোটের অধিকার হরণ করে নিয়েছে। তারা আজ ক্ষমতা দখল করে একদলীয় শাসনব্যবস্থা প্রবর্তন করতে চাচ্ছে ভিন্ন পদ্ধতিতে।’ জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যসহ কর্মীদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়াউর রহমানের সমাধিস্থলে আসেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পুষ্পমাল্য অর্পণের পর প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন নেতা-কর্মীরা। এ সময় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, ফরহাদ হালিম ডোনার, হাবিবুর রহমান হাবিব, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিম উদ্দিন আলম, আবুল কালাম আজাদ সিদ্দিকী, মীর সরাফত আলী সপু, রফিকুল ইসলাম, মীর নেওয়াজ আলী, শামীমুর রহমান শামীম, রফিক শিকদার, আমিরুজ্জামান শিমুল,আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন, অঙ্গসংগঠনের আফরোজা আব্বাস, হেলেন জেরিন খান, ঢাকা মহানগরের রফিকুল আলম মজনু, আমিনুল হক, যুব দলের মামুন হাসান, মোনায়েম মুন্না প্রমুখ ছিলেন। পরে কবর প্রাঙ্গণে জাতীয়তাবাদী উলামা দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলেও নেতারা অংশ নেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর একদল সদস্যের অভ্যুত্থানে নিহত হন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। সেই থেকে এই দিনকে ‘শাহাদাত’ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে দলটি। এর আগে সকালে রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আগে খালেদা জিয়াই দলের প্রতিষ্ঠার কবরে গিয়ে পুষ্পমাল্য অর্পণ করতেন। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি মামলায় সাজায় কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে দলের মহাসচিব স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নিয়ে এই কর্মসূচি পালন করছেন। বিএনপি ছাড়াও ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, মুক্তিযোদ্ধা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, কৃষক দল, মহিলা দল, তাঁতীদল, মৎস্যজীবী দল, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন, ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে আলাদাভাবে জিয়ার কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিত ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়। নেতা-কর্মীরা বুকে কালো ব্যাজ ধারণ করেন। জিয়ার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর আগারগাঁও লায়ন চুক্ষ হাসপাতাল, হাইকোর্ট মাজার প্রাঙ্গণে, সেগুনবাগিচা, শাহজাহানপুর, নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ একাধিক স্পটে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের কর্মসূচির উদ্বোধন করেন বিএনপি মহাসচিব। মিরপুরের পল্লবী শপিং সেন্টারসহ রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে বিএনপি মহানগর উত্তর-দক্ষিণের উদ্যোগে দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণের কর্মসূচি ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্য সদস্যরা।