প্রোটিয়াদের কাছে ৭৭ রানে ধরাশায়ী শ্রীলঙ্কা

৩ জুন, ২০২৪ | ১১:৪৩ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

আনরিখ নর্কিয়ের জন্য উইকেট নেওয়া যেন ছেলেখেলা হয়ে দাঁড়ালো। তার অগ্নিঝরা বোলিংয়ের সামনে শ্রীলঙ্কা দাঁড়াতেই পারেনি। ৭৭ রানে অল আউট তারা, যা টি-টোয়েন্টিতে তাদের সর্বনিম্ন স্কোর। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই লজ্জা পেতে হলো লঙ্কানদের। ২০১৬ সালে বিশাখাপত্নমে ভারতের বিপক্ষে করা ৮২ রানের রেকর্ড ভেঙে ফেললো তারা। নিউ ইয়র্কে শুরু থেকে চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৩ রান যোগ হয় স্কোরবোর্ডে, তখনও অক্ষত ওপেনিং জুটি। চতুর্থ ওভারে ওটনিল বার্টমান প্রথম আঘাত করেন। ডিপ থার্ডে হেনরিখ ক্লাসেনের সহজ ক্যাচের শিকার হন পাথুম নিসাঙ্কা (৩)। দক্ষিণ আফ্রিকার আঁটসাঁট বোলিংয়ে পাওয়ার প্লে শেষে শ্রীলঙ্কার স্কোর ১ উইকেটে ২৪ রান। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলটির যৌথ সর্বনিম্ন স্কোর। ২০২২ সালে সিডনিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তারা এই রান করেছিল চার উইকেট হারিয়ে। অষ্টম ওভারে বল হাতে নেন নর্কিয়ে। পঞ্চম বলে কামিন্দু মেন্ডিসকে (১১) রিজা হেনড্রিকসের ক্যাচ বানান। পরের ওভারে কেশভ মহারাজ পরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও সাদিরা সামারাবিক্রমাকে প্যাভিলিয়নে পাঠান। ৩২ রানে নেই তিন উইকেট। দশম ওভারে নর্কিয়ে তার দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন। প্রোটিয়া পেসারের শেষ বলে কুশল মেন্ডিস (১৯) ক্যাচ দেন ট্রিস্টান স্টাবসকে। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে শ্রীলঙ্কা প্রথম ১০ ওভারে তাদের সর্বনিম্ন ৪০ রান করে। নর্কিয়ে তার পরের ওভারে শ্রীলঙ্কার ষষ্ঠ উইকেট পান। চারিথ আসালাঙ্কা (৬) হেনড্রিকসের ক্যাচ হন। ১৩তম ওভারে ইনিংসের প্রথম ছক্কায় লঙ্কানদের সংগ্রহ পঞ্চাশ ছাড়ায়। কাগিসো রাবাদা ফেরান দাসুন শানাকাকে (৯)। নর্কিয়ের শেষ ওভারে শ্রীলঙ্কা হারায় অষ্টম উইকেট। ১৬ রান করে থামেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। চার ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে চার উইকেট নেন প্রোটিয়া পেসার, যা বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সেরা ফিগার। বিশ্বকাপে প্রথম ১১ ম্যাচে সর্বোচ্চ ২৪ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন নর্কিয়ে। তিনবার ইনিংসে চার উইকেট নিয়ে সাকিব আল হাসান ও আজমলের পাশে বসলেন তিনি। বাকি দুটি উইকেট পড়েছে দ্রুত। মাথিশা পাথিরানা ডাক মারেন রাবাদার বলে। ইনিংসের পঞ্চম বল বাকি থাকতে রান আউট নুয়ান থুশারা। ৭ ব্যাটসম্যান ও ৪ বোলারকে নিয়ে একাদশ সাজায় শ্রীলঙ্কা। এর মধ্যে মাত্র ৩ জন দুই অঙ্কের ঘরে রান করেন, ৪ জন মেরেছেন ডাক।