সৌম্যর বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন

নিজের পুরো ক্যারিয়ারে সৌম্য সরকার যতটা না ভালো ইনিংস খেলে শিরোনাম হয়েছেন, তার চেয়ে বেশি হয়েছেন অফফর্মের কারণে। ড্যাশিং ক্রিকেটার বলে তার ব্যাটিং দেখাটাও ছিল তৃপ্তিদায়ক। সৌম্য যখন খেলেন, প্রতিপক্ষের বোলারদের নাভিশ্বাস উঠে। কিন্তু কালেভদ্রেই ক্রিকেটভক্তরা সৌম্যর সেসব ইনিংস দেখতে পারেন। এখনও নিজের ছায়া হয়ে আছেন তিনি। ভারতের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে আউট হয়েছেন রানের খাতা না খুলে। তার পরেও অফফর্মে থাকা সৌম্য স্বপ্ন দেখছেন বিশ্বকাপ জেতার! বিশ্বকাপ উপলক্ষে বিসিবির বিশেষ আয়োজন ‘দ্য গ্রিন রেড স্টোরিতে’ সৌম্য নিজের স্বপ্নের কথা জানিয়েছেন। বিসিবির ফেসবুক পেজে প্রকাশিত ভিডিওতে তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ভালো কিছু করা সম্ভব। স্বপ্ন সবসময় বড় দেখি। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখি। কেউ যদি বলে সেমিফাইনাল, আমি বলবো ফাইনাল খেলতে যাবো। ফলাফল কী হবে সেটা পরে দেখা যাবে। বড় স্বপ্ন দেখাটা গুরুত্বপূর্ণ।’ সৌম্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আসার পর পরই অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ সালে প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন। ২০১৬ সালে খেলেছেন প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এরপর ২০২১ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলেছেন। গত বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ মিস করলেও ছিলেন ২০১৯ ওয়ানডে বিশ্বকাপে। দুই ফরম্যাট মিলিয়ে সৌম্যের এটি ৬ষ্ঠ বিশ্বকাপ। তবু সমান রোমাঞ্চ কাজ করছে তার, ‘যেকোনো বিশ্বকাপে খেলাই গর্বের বিষয়। খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ খেলা তো স্বপ্নের মতন। ২০১৫ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলার সময় যেমন, এবারও তেমন রোমাঞ্চ কাজ করবে। ২০২৪ সালটা স্মরণীয় করে রাখতে চাই। নিজের পাশাপাশি দলকে ভালো কিছু উপহার দিতে চাই। সৌম্যের মতে তাদের দলে অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের একটা দারুণ সমন্বয় আছে। সেটা কাজে দেবে বিশ্বকাপ মঞ্চে, ‘অভিজ্ঞ সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইরা আছেন। আমরা যারা অনেকদিন ধরে খেলছি তারাও আছি। সব মিলিয়ে সবার অভিজ্ঞতা যদি এক জায়গায় করতে পারি। একত্রিত হয়ে যদি খেলতে পারি, তাহলে ভালো টুর্নামেন্ট উপহার দিতে পারবো।’ নিজের অফফর্ম নিয়েও কথা বলেছেন তিনি। রান খরা নিয়ে বলেছেন, ‘একজন ব্যাটারের জন্য রান করাটা গুরুত্বপূর্ণ। সে যেখানেই রান করুক, সেটা তার আত্নবিশ্বাস বাড়ায়। রান না করলে কখনও আত্নবিশ্বাস অর্জনের সুযোগ থাকে না।’ সৌম্যর বিশ্বাস অধিনায়ক হিসেবে নাজমুল হোসেন শান্ত বাংলাদেশকে দারুণ কিছু উপহার দিবে, ‘শ্রীলঙ্কা সিরিজে ওর সঙ্গে খেলেছি। আমি মাঠে ওকে যেভাবে দেখেছি, তাতে সন্তুষ্ট। সে দলকে সবসময় একত্রিত রাখার চেষ্টা করছে। আমি আশা করবো, সে দলকে ভালো একটা অবস্থানে নিয়ে আসতে পারবে। তাকে শুভকামনা জানাই। আশা করি সে অধিনায়কত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নতুন কিছু উপহার দেবে।’