প্রতিবেশগত সংকটে ইসিএ ঘোষিত কালগিঞ্জের ‘মারজাত বাঁওড়’

৫ জুন, ২০২৪ | ২:১১ অপরাহ্ণ
ডেস্ক নিউজ , দৈনিক গণঅধিকার

ইসিএ ঘোষিত ‘মারজাত বাঁওড়’। ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন এলাকার অশ্বখুরাকৃতির এই হ্রদটিতে নিয়মিত মাছ আহরণ করছেন ক্ষমতাসীন দলের একজন প্রভাবশালী নেতার ভাগনে। ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, ভারতে খুনের শিকার সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের একজন ‘ভাগনে’ নিয়মিত মাছ আহরণ করছেন হ্রদ থেকে। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে স্থানীয় কাষ্টভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আয়ুব হোসেন খান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘আমি তো পরিবেশ অধিদফতরের কমিটিতে আছি। স্থানীয় পরিবেশ অধিদফতরে অভিযোগ গিয়েছিল শুনেছি, পরে ডিডি (সহকারী পরিচালক) এসে সাইনবোর্ড টাঙিয়ে যান। যদিও কোনও কাজ হচ্ছে না বলে অনেকে অভিযোগ করছেন। আমি আশা করি, পরিবেশ অধিদফতর এ বিষয়ে উদ্যোগ নেবে।’ যদিও লোকবল ও আর্থিক সংকটের কারণে ইসিএ ম্যানেজমেন্ট করতে পারছে না পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক কর্মকর্তার ভাষ্য, প্রথম সমস্যা হচ্ছে ইসিএ ঘোষিত ১৩টি এলাকাই পর্যটন এলাকা। এসব এলাকায় মনুষ্যসৃষ্ট সংকটই এই এলাকাগুলোকে অস্তিত্ব সংকটের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, বাজেট সমস্যার কারণে ইসিএ বাস্তবায়নে ধীরগতি ছিল, যা এখন কাটতে শুরু করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন কোনও-কোনও কর্মকর্তা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ অনুবিভাগ) ফাহমিদা খানম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘দেশের ১৩টি ইকোলোজিকালি ক্রিটিক্যাল এরিয়া বা ইসিএ রয়েছে। আমরা ম্যানেজমেন্ট প্ল্যান তৈরি করছি। ইসিএ কার্যকর করতে গিয়ে অনেক ধরনের সমস্যাও রয়েছে। অনেকের জমির প্রশ্ন রয়েছে, ব্যক্তিগত জমি রয়েছে। সবকিছু ম্যানেজ করে এটা বাস্তবায়ন করতে হচ্ছে।’ ‘সবকিছু ম্যানেজ করেই ডিমারকেশনের (সীমানির্ধারণ) কাজ চলছে’ বলে উল্লেখ করেন অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ অনুবিভাগ) ফাহমিদা খানম। তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা কক্সবাজারের রিমারকেশনের কাজ শেষ করছি। পর্যায়ক্রমে আমরা সবগুলো এলাকারই মৌজা ও দাগ নম্বর ম্যাপিং করে কাজ সম্পন্ন করবো।’ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, বিশ্ব ব্যাংকের একটি বড় অংকের লোনের ইন্টারেস্ট দিয়ে ইসিএ বাস্তবায়নে ফান্ড ম্যানেজমেন্টের প্রক্রিয়া চলমান। এ বিষয়টি সম্ভব হলে ইসিএ বাস্তবায়নে আরও অগ্রগতি আসবে, এমনটিই প্রত্যাশা।