‘মাঠের অবস্থা ভালো ছিল না, তবুও কৃতিত্ব বাংলাদেশের’

বিশ্বকাপ বাছাইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে জিততে দেয়নি বাংলাদেশ। দুই অর্ধে একটি করে গোল খেয়েছে। তবে ২ গোলে হারলেও তপু-রাকিবদের খেলা ছিল প্রশংসনীয়। যেভাবে ১৬০ ধাপ এগিয়ে থাকা দলের একের পর এক আক্রমণ রুখে দিয়েছে, তা ছিল দেখার মতোই। তবে মেলবোর্নে ৭-০ গোলে জয় আর ঢাকায় ২-০ তে হার নিয়ে অস্ট্রেলিয়ান কোচ গ্রাহাম আর্নল্ড ও ফরোয়ার্ড কুসিয়ানি ইয়েংগি নানান ব্যাখ্যা দিয়েছেন। বাংলাদেশকে কৃতিত্ব দিয়ে আবার কিংস অ্যারেনার মাঠের দুরবস্থাও তুলে ধরেছেন। প্রথমার্ধে মেহেদী হাসান মিঠুর আত্মঘাতী গোলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। বিরতি পর কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে ইয়েংগি হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ম্যাচ জিতে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে এসে সংবাদ সম্মেলনে এই অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ড বলেছেন, ‘এখানে দারুণ অভিজ্ঞতা হলো। কিন্তু মাঠের কন্ডিশন ভালো ছিল না। পানি ছিল, কর্দমাক্ত ছিল, চোটের ঝুঁকি ছিল। আমাদের দলের একাধিক খেলোয়াড় চোটও পেয়েছে।’ কোচ আর্নল্ড ছিলেন এককাঠি সরেশ। তার ব্যাখ্যা ছিল, ‘আমরা সম্ভবত ৬-৭টি সুযোগ পেয়েছিলাম, কিন্তু আমরা সেটা কাজে লাগাতে পারিনি, সম্ভাব্য চোট শঙ্কা ছিল। মাঠের অবস্থা পুরোপুরি মেনে নেওয়ার মতো নয়। এখানে খেলোয়াড়রা চোট পেতে পারে। ক্র্যাম্প করতে পারে। মাঠের অবস্থা ভালো নয় এবং সত্যিকার অর্থেই আমি এটা মনে করি।’ তবে বাংলাদেশ দলের প্রশংসা করতে ভুল করেননি কোচ, ‘পুরো কৃতিত্ব আমরা বাংলাদেশকে দিতে চাই। তারা এ ম্যাচের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছে। তারা চেষ্টা করেছে… আমি মনে করি তাদের খুবই ভালো একজন কোচ আছে, যিনি দারুণ কাজ করেছেন। তবে হ্যাঁ, এটাও ভালো বলতে হবে, মাঠে কাদা ছিল। পিছলে গিয়ে দুর্ঘটনা হতে পারে। ক্যাম্প হতে পারে। এটা বিপদজনক। এটা কেবল আমাদের জন্য নয়, বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের ক্ষেত্রে এটা হতে পারতো।’ ম্যাচটা যে কঠিন হবে, তা আগেই বুঝেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ, ‘আমি বলতে চাচ্ছি, আমরা আরও গোল পেতে পারতাম। এ মাঠেই বাংলাদেশ ফিলিস্তিনের বিপক্ষে খেলেছিল। শেষ দিকে গোল খেয়ে হেরেছিল। আমরাও জানতাম এই ম্যাচটা কঠিন হবে।’